
বিশ্বকাপ থেকে বলতে গেলে খালি হাতেই ফিরেছে বাংলাদেশ। অথচ ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর সেমিফাইনালের বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ব আসরে খেলতে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহরা।
কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার ফারাকটা এবার দেখা গেল। এদিকে, দলের এমন ভরাডুবির পর অনেকেই মনে করছেন, আসর চলাকালীন বোর্ড-খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব মাঠের খেলায় প্রভাব পড়েছে।
এদিকে, জাতীয় দলের দায়িত্ব অনেক আগেই ছেড়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তবে এখনো বাইশ গজের বাইরে থেকেও বেশ সরব তিনি। ক্রিকেটারদের ব্যর্থতা নিয়ে গত কয়েকদিনে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। এবার টুইটারেও মুখ খুললেন।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় দলের সাবেক সফল এই অধিনায়ক পরপর দুটি টুইট করেন। যার প্রথমটিতে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের অনেক কিছু করার আছে। কাজ করতে ৯শ কোটি টাকার প্রয়োজন নাই, ১০ কোটি টাকা দিয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব যদি আপনার সদিচ্ছা থাকে।’
দ্বিতীয় টুইটে মাশরাফী বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন, আমি ফুল অথরিটি নিয়ে কাজ করতে চাই। এমন কাজ আমি করবো না, যেখানে আমাকে প্রতিনিয়ত ডিস্টার্ব করা হবে। যেমন আপনারা বলেন, এখন নির্বাচক প্যানেল স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাহলে সেই কাজ করার চেয়ে তো, না করাই ভালো।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাশরাফী বলেন, কিছু ব্যাপার মেলানো প্রয়োজন। সেটা হলো, খারাপ হওয়ার প্রথম দায় অবশ্যই ক্রিকেটারদের। এরপর আর কি কারও দায় নেই? শুধু ক্রিকেটারদের ঘাড়ে চাপিয়ে যদি শেষ করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে। প্রমাণ তো আগেও অহরহ দেখা গেছে!
কোনো টুর্নামেন্টে বাজে পারফরম্যান্সের পর সাধারণত অধিনায়ক কিংবা কোচ বদল নিয়মিত চিত্র যে কোনো দলের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই এর খুব ব্যতিক্রম আছে তা কিন্তু নয়। এ সম্পর্কে মাশরাফী বলেন, আগের অভিজ্ঞতা থেকে এবারও বলে দেওয়া যায়, এখন সামনে কী হবে। হয়তো কাউকে বাদ দেওয়া হবে, কারও ওপর অদৃশ্য রাগ ঝাড়া হবে, রিয়াদকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হবে। সমর্থকরা যে ক্রিকেটারকে পছন্দ করছে না, তার ওপর ঝাল মিটিয়ে সমর্থকদের শান্ত করা হবে। সাংবাদিক ভাইদের নানা কিছু বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।
লম্বা স্ট্যাটাসে তিনি যোগ করেন, ক্রিকেটারদের দায় দিন, ভালো কথা। সেটা তাদের প্রাপ্য। পাশাপাশি নিজেরাও বোঝার চেষ্টা করুন যে আপনারাও ব্যর্থ! কারণ, এই পুরো প্রক্রিয়ার অংশ আপনারাও। আপনারা অন্যবারের মতো বলতেই পারেন, অমুকের জন্য পারিনি, তমুক ব্যর্থ হয়েছে, এজন্যই পারলাম না। সেক্ষেত্রে তো দায়টা আপনাদেরও, কারণ উপযুক্ত বিকল্প আপনারা তৈরি করতে পারেননি। সেই দায়িত্ব তো আপনাদের কাঁধেই ছিল, আপনাদের তো আগেই বোঝা উচিত ছিল! আপনারা সেটা পারেননি। তাই দয়া করে, সত্যকে আলিঙ্গন করুন এবং নতুনভাবে কাজ শুরু করুন।