
আহেদ তামিমি, ২২ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নারী আন্দোলনকর্মী। স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তার অনেক জনপ্রিয়তা। ২০১৭ সালে তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইসরায়েলি সেনাকে চড় মেরে আলোচনার জন্ম দেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ওই সময় কিশোরী তামিমিকে আট মাসের কারাদন্ড দিয়েছিল। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে গত ৬ নভেম্বর তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গত বুধবার ইসরায়েলি কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। আহেদ তামিমি চলতি মাসে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হন। অবশ্য তার পরিবার দাবি করেছে, তামিমি কিছুই লেখেননি। ইসরায়েল এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে। গত বুধবার মুক্তিপ্রাপ্ত ৩০ জনের মধ্যে ছিলেন তামিমিও। অন্যদিকে হামাস ৭০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
আহেদ তামিমি বন্দি ছিলেন ইসরায়েলের হাইফা শহরের দামন কারাগারে। গত ৬ নভেম্বর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে পশ্চিম তীর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাকে বন্দি রাখতে পারল না ইসরায়েল। কারণ হামাস তার মুক্তির জন্য অবিচল ছিল। মুক্তি পাওয়ার পরপরই তিনি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে চলে আসেন। ইসরায়েলি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ১১ বছর বয়স থেকেই তাকে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়।
আহেদ তামিমিকে যে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তা এখন দেখা যাচ্ছে না। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে অভিযোগ করা হয়, অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন তামিমি। এ বিষয়ে তামিমির মা বলেন, যে অ্যাকাউন্ট থেকে ওই পোস্ট করা হয়, সেটি তামিমির নয়। তামিমির নাম ও ছবি দিয়ে কয়েক ডজন অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনলাইনে এবং এসবের সঙ্গে তার মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
আহেদ তামিমি অল্প বয়সেই পশ্চিম তীরের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন। ২০১৭ সালে ইসরায়েলি বাহিনী তার এক কাজিনের মাথায় গুলি করে এ সময় ১৬ বছর বয়সেই তামিমি ইসরায়েলি সেনাকে চড় মেরে আলোচনার জন্ম দেন। গোটা বিশে^ বেশ আলোচিত হয় ঘটনাটি। রাতারাতি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। পশ্চিম তীরে নবি সালেহ গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলাকালে তিনি এই কা- ঘটিয়েছিলেন। এই অপরাধে তাকে আট মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।