তোকে বলতে চাই ভালোবাসি
কিন্তু বলে ফেলি কেমন আছিস।
তুই বুঝিস তো!
তাতেই হলো।
রাজপথে এখন কোন জটলা নেই।
ব্যারিকেড উঠে গেছে।
মিছিলের ছেলেগুলো ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। জানালার পাশে তুই দাঁড়িয়ে আছিস পাখিটি দেখার জন্য।
যার নাম দিয়েছিস রোজ-পাখি।
আমি জানি তোর শরীরে অনেক ব্যথা।
পাখি দেখা বাহানা।
ও ছেলে তোর সাহস অনেক।
আমি হলে ভেঙ্গে যেতাম।
কী ভাবছিস এতো?
দিনের আলোতে লোনা জল ঝড়িয়ে
রাতে নক্ষত্র গণিতকর তুই।
সেই তো মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ জীবন তোর।
একদিন সত্যি সত্যি কুঁজো হয়ে তোকে কুর্নিশ করবো। প্রণয়লীলা কতোটা উচ্চ হলে পুলিশকে কেউ বলতে পারে
দুগালের কোথাও চড় থাপ্পড় দেবেন না।
দুগালে চুম্বন আছে।
তারাও তোকে বিশ্বাস করলো। শেষে ডাণ্ডা ঠুকিয়ে দিল তলপেটে।
ও মা… বলে তুই চীৎকার দিয়েছিলি।
আচ্ছা বলতে পারিস, কতদিন বন্দী থাকলে কাউকে আসামী বলা যায়?
আমরা তো সবাই আসামী কিন্তু কেউ জানি না সাজার মেয়াদ।
দেখিস, আমাদের শ্লোগান একদিন সরকার মেনে নেবে।
আমাদের দাবী তো সেই একটাই।
হৃদয়ের ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করতে হবে।
তোর অনেক কষ্ট তবুও তুই ভালো থাকিস জেল গেটে।
তুই সাহসী ছেলে।
হয়তো পদ্মা সেতুর মতো আমাদের স্বপ্ন সেতুও দেখে যেতে পারবি।
শেষমেষ দেখা গেল আমি হয়তো কোন অ-সমাজতান্ত্রিক দেশে প্রবাসী ঘরনি হয়ে সুকান্ত আবৃত্তি করছি।
তুই একজন হৃদয়-শ্রমিক। ভাঙ্গা আস্তর জোড়া দিয়ে মিহি করে দিস।
যতদিন পারিস যত্নে রাখিস ঐদু’টি গাল।
আমি কোন ভুল করিনি।
অতোটুকুই আমার চাষবাস।