
ঢালিউড অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমের সঙ্গে সনি পোদ্দারের দীর্ঘ ৬ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে তারা কেউই কখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। বিষয়টি রেখেছিলেন একেবারের লোকচক্ষুর আড়ালে। নায়িকার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিমের হবু স্বামী সনি পোদ্দারও বজায় রেখেছিলেন সম্পর্কের গোপনীয়তা। জন্মদিনে বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে মিম তার হবু স্বামীর সঙ্গে যৌথ ছবি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। অথচ, এর আগে সনির বন্ধুরা পর্যন্ত জানত না কার সঙ্গে বাগদান হতে যাচ্ছে সনির। বাগদানের ছবি দেখে তারাও হয়েছেন অবাক।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, হবু স্বামী সনি পোদ্দার কুমিল্লার ছেলে। সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা তিনি। অর্নি নামে এক বান্ধবীর মাধ্যমে ৬ বছর আগে সনির সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তারপর বন্ধুত্ব। আর সেখান থেকেই প্রেম। অবশেষে বিয়ের সিদ্ধান্ত।
কিন্তু দীর্ঘ ৬ বছর বন্ধু ও ভক্তদের ‘ফাঁকি’ দিয়ে কীভাবে দেখা করতেন মিম ও সনি? তারকা বলে কথা। যেখানে সেখানে প্রেম করলে ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে ধরা পড়ার ভয়! তাই নিরাপদ জায়গা হিসেবে গাড়িকেই বেছে নিতেন তারা।
সংবাদ মাধ্যমকে নায়িকা বলেন, ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই আড়ালে রাখতে পছন্দ করি। সম্পর্কটা একান্ত রাখার জন্য আমি অনেক স্যাক্রিফাইস করেছি। কখনোই আমরা কোনো পাবলিক প্লেসে দেখা করিনি। মাসে একবার বা দুইবার দেখা করতাম, সেটাও আমার গাড়িতে। দেখা গেল, আমি জিমে গেলাম বা পার্লারে গেলাম। তখন কাজ শেষ করে ওর সঙ্গে গাড়িতে বসে আধা ঘণ্টা গল্প করলাম। এরপর বাসায় চলে আসতাম। এভাবেই চলেছে আমাদের সম্পর্ক।
একটা মজার ঘটনাও শেয়ার করেছেন ঢালিউড অভিনেত্রী। তাহসানের সঙ্গে জড়িয়ে যখন সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়ায়, তখন মধুর বিড়ম্বনায় পড়তেন তারা। মিম বলেন, তাহসান ভাই কিন্তু জানতেন আমার সম্পর্কের কথা। এজন্য তিনি মাঝেমধ্যে বলতেন, ‘ইশ, মানুষজন এমন সব নিউজ করে, ইচ্ছে করে বলে দিই যে, তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে’। এটা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ভাইয়া মজা করতেন। এমনকি তার সঙ্গে আমি যে একটা টকশো করেছিলাম, সেখানেও তিনি মজার ছলে ইঙ্গিত করেছিলেন।
এদিকে, বাগদান সারলেও এখনই বিয়ের পরিকল্পনা নেই মিম ও সনির। আগামী বছরের ডিসেম্বরে কিংবা তার পরের বছর বিয়ে করতে পারেন তারা। আপাতত কাজে ডুবে থাকতে চান নায়িকা।
২০০৭ সালে মিম ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’-এর মুকুট জয় করে শোবিজে পথচলা শুরু করেন বিদ্যা সিনহা মিম। ক্যারিয়ারের শুরুতেই নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন।
সেই ছবিতে তিনি সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছিলেন জাহিদ হাসান, ফেরদৌস, মেহের আফরোজ শাওনের মতো তারকাদের। ছবিটি মিমের ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল একটি সাফল্য হয়ে আছে।
এরপর নিয়মিতই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মডেলিং ও অভিনয়ের ব্যস্ততায় ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে পেয়েছেন একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক স্বীকৃতি ও সাফল্য। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মিম কাজ করেছেন ওপার বাংলার জিৎ, সোহমদের নায়িকা হয়েও।