6.2 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক বিএনপির

‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক বিএনপির

সরকারের পদত্যাগের এক দফায় অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলটি আজ থেকে সরকারকে ‘সবক্ষেত্রে’ অসহযোগিতা করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেছে।

- Advertisement -

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক বিএনপির

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানান। এই আহ্বানের পেছনে যুক্তি দিয়ে রিজভী বলেন, নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস বিদ্যুৎ বিল দেয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম বিধায় ব্যাংকে লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় অভিযুক্তগণ মামলায় হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। জনগণের আন্দোলনের ফলে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে এইসব অসহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্থগণ যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুবিচার পাবেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের অনেক সাথী জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, বন্দি ও আহত হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে ও চলবে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও লড়াইয়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য।

অসহযোগ আন্দোলের কর্মসূচিতে বলা হয়:

দেশের কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না অথচ প্রতিদিনই কৃষি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। শ্রমিকেরা ন্যায্য মুজুরি পায়না অথচ প্রতিবাদ করলেই রাজপথে তাদের রক্ত ঝড়ছে। ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। প্রবাসে শ্রমিকদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। অথচ এরাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রধান শক্তি। কিন্তু গণতন্ত্র না থাকলে সংখ্যাগরিষ্ঠের কোন মূল্য থাকেনা বলেই এদের আজ কোন মূল্য নেই। আমরা গণতন্ত্র চাই এই সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং দুস্থ মানুষের মূল্য নিশ্চিত করতে।

‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে খেলার আয়োজন করা হচ্ছে তা শুধুই সরকারের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য। এই নির্বাচনের সরকারবিরোধী কোন রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণদাবিকে জোর করে উপেক্ষা করার ফলে এই নির্বাচনে জনগণের কোন আগ্রহ নেই। গণতান্ত্রিক বিশ্ব এমন একতরফা নির্বাচনী প্রহসনের অশুভ পরিণাম নিয়ে উৎকণ্ঠা ও সতর্কতা জানিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার জাতীয় সংসদের কিছু আসন তাদের দূর্ণীতি-অনাচারের অংশীদার অনুগত দলগুলোকে অনুদান হিসেবে দিয়ে তথাকথিত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের তামাশা করতে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে তারা কিছু ডামী প্রার্থীকে নির্বাচনে রেখে এক নতুন হাস্যকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে।’

‘আমরা দেশবাসীকে সত্যিকারের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ন্যায্য দাবির প্রতি অটল থেকে এই আসন ভাগাভাগির তামাশাপূর্ণ ডামী নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন সফল হবে না। শুধু নিজেদের অনুপস্থিতি দিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ নির্বাচনের নামে এই নোংরা খেলা ব্যর্থ করে দেবেন। ফলে শীঘ্রই জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles