5.6 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘বাপ’ ডাকতে বললেন নৌকা প্রার্থী

আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘বাপ’ ডাকতে বললেন নৌকা প্রার্থী
বাদানুবাদের ভিডিও থেকে নেওয়া

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ভোটের প্রচারণা চালাতে গিয়ে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সোনালী মার্কেট এলাকায় দলটির উপজেলা সভাপতি ও প্রার্থীর মধ্যে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

- Advertisement -

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সোনালী মার্কেট এলাকায় নৌকা প্রতীকে প্রচারণা করেন প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। এ সময় আকস্মিকভাবে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন এ আসনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লবের (কাঁচি প্রতীক) সমর্থক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম। এতে দুজনের মধ্যে সেখানে দেখাদেখি হয়। দুজনের কথপোকথনও হয়। এক পর্যায়ে উভয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।

ভিডিওতে শোনা যায়, ‘বাদানুবাদ চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, ‘আমাকে বাপ ডাকবি। মনে নাই উপজেলা নির্বাচনে আমারে টাকা সাধ ছিলি, মনে নাই। আমি এক টাকাও নিই নাই। আমি এক টাকাও নিই নাই।’

পক্ষান্তরে উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারে আমি বাপ ডাকুম কেন। আমার কি বাপ নাই। আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথা ঠান্ডা রাখুন। পরবর্তীতে সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলেন, আমার মাথা ঠান্ডা আছে। মনে রাখিস।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানো শেষে সোনালী মার্কেট হয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় সংসদ সদস্যের গাড়িবহর দেখতে পেয়ে সেখানে নামি। তার সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘প্রতিদিনই বাদানুবাদ হচ্ছে। আমরা প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছি। আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গজারিয়ার সোনালি মার্কেট এলাকায় ভোটা চাচ্ছিলাম। সে সময় চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কাঁচি কাঁচি বলে স্লোগান দিল। আমি তখন তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে জিজ্ঞেস করলাম যে আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে এমন করলে এটা কি আপনাকে মানায়। এক পর্যায়ে আমার সাথে বাদানুবাদ হয়। তখন তাকে গত নির্বাচনের ব্যাপারে বলি।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles