
ফেডারেল সরকারের বন্ড ক্রয়ও ধীরে ধীরে সহজ করা হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংক অব কানাডা। ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির যে লক্ষমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৩ সালের আগেই অর্থাৎ ২০২২ সালের শেষ দিকে তা অর্জিত হবে বলে আশা করছে ব্যাংকটি। তবে কোভিড-১৯ মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের কাছে অর্থনীতিকে একটা পরীক্ষা দিতেই হচ্ছে। ব্যাংক অব কানাডা বলছে, সংক্রমণে বেশি বিপর্যস্ত এলাকায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও শ্রমবাজারের প্রবৃদ্ধি হুমকিতে পড়তে পারে।
এদিকে, ব্যাংক অব কানাডা শক্তিশালী অর্থনীতির পূর্বাভাস দিয়েছে। বুধবার এ পূর্বাভাস দিলেও সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ অপরিবর্তীত রেখেছে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ, কেবল অশাবাদের ওপর ভর করে কিছু করতে চায় না তারা।
ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকক্লেম বলেন, সবকিছুই নির্ভর করছে পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের শুরুর দিকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যে সক্ষমতা দেখিয়েছিল এবারও তা দেখাতে পারবে কিনা তার ওপর। ভ্যাকসিনেশন কর্মর্সূচি চলছে এবং আমাদের জন্য সামনে উজ্জ্বল দিন অপেক্ষা করছে। তবে অর্থনীতিকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে আরও কিছু সময় লাগবে। তৃতীয় ঢেউ দেশের কিছু অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা খাতকে বিপর্যয়ে ফেলে দিচ্ছে।
রেস্তোরাঁর মতো খাতগুলোর ওপর তৃতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে ব্যাংক অব কানাডা। ব্যাংকটির মতে, তৃতীয় ঢেউ চলাকালে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে কাজ হারানোর ঘটনা ঘটবে। এর শিকার হবেন মূলত কম বেতনের ও খন্ডকালীন কর্মীরা। কর্ম হারানো কানাডিয়ান ও নতুন করে যারা চাকরি খুঁজছেন তাদের কাজ পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
অর্থনীতিকে মহামারি-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কত সংখ্যক কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন সেই প্রক্ষেপণও করেছে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের মতে, এজন্য আরও ৩ লাখ কর্মীকে নিয়োগ দিতে হবে।
সুদের হার বাড়ানোর সঠিক সময় নির্ধারণে শ্রম বাজারের ওপর নিবিড় লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে জানান ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর। ব্যাংকটির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, চলতি বছর কানাডার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, সর্বশেষ প্রান্তিক পূর্বাভাসের চেয়ে এটা ২ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট এবং সোমবার ঘোষিত ফেডারেল বাজেটের প্রাক্কলন ৫ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়ে বেশি। ব্যাংক অব কানাডার মতে, এ প্রবৃদ্ধি হবে মূলত ভোক্তা চাহিদার ওপর ভর করে।