
সিনেমা শেষ হতেই প্রেক্ষাগৃহে আলো জ্বলে উঠলো। ততক্ষণে বাঁধনকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করেছে তার ১০ বছরের মেয়ে সায়রা। পাশে দাঁড়িয়ে আপ্লুত বাঁধনের বাবা আমিনুল হক। মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো-এর পরবর্তী চিত্র ছিল এমনটাই।
গতকাল বুধবার (১০ নভেম্বর) বাবা ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে প্রিমিয়ার শো-তে হাজির হয়েছিলেন বাঁধন। সায়রা পর্দায় মাকে দেখেছেন ঠিকই, কিন্তু অনুভব করেছেন রেহানার দ্বন্দ্ব ও সংগ্রাম। এই সিনেমায় সায়রার বয়সের একটি মেয়ে চরিত্র আছে। তার কষ্টকে হয়তো নিজের কষ্টের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে ছোট্ট সায়রা।
এদিকে মেয়ের অভিনয় দেখে মুগ্ধ বাঁধনের বাবা আমিনুল হক। নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে যে এত ভালো অভিনয় করতে পারে আমি তা জানতাম না। আমাদের পরিবার কখনও চাইতো না বাঁধন মিডিয়ায় কাজ করুক। সবাই বলতো মেয়ে মানুষ এইগুলো করবে কেন? সে ডাক্তার হচ্ছে তা করুক। কিন্তু আমি চাই, বাঁধন যা ভালোভাবে করতে পারবে তাই করুক। মেয়ের কাজ দেখে আজ মনে হচ্ছে আমি সফল। সে তার কাজটা ঠিকমতো করছে। খুব ভালো লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমা দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমার মেয়ে বাঁধন আর নাতনির সংগ্রাম দেখছি। এই রকমের একটা সময় পার করতে হয়েছে তাদের। আমার মেয়েটার জন্য সবাই দোয়া করবেন। বাঁধন যেন দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করতে পারে।’
প্রসঙ্গত, কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রথমবার প্রিমিয়ার হয়েছিল ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার। দেশের মানুষ সিনেমাটি দেখবেন আগামী ১২ নভেম্বর।