
ঝুলিতে চারটি পিএইচডি রয়েছে তার। কিন্তু অধ্যাপনার চাকরি ছেড়ে সবজি বিক্রি করছেন তিনি। অবিশ্বাস্য হলেও ড. সন্দীপ সিংয়ের ক্ষেত্রে এটাই সত্যি। তার সবজির গাড়িতে বড় বড় করে লেখা ‘পিএইচডি সবজিওয়ালা’। কিন্তু কেন হঠাৎ সবজি বিক্রি করতে নামলেন তিনি?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী সন্দীপ পরিস্থিতির চাপে পড়েই পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। পাতিয়ালার পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক ছিলেন। চাপে পড়ে হঠাৎ চাকরি ছাড়তে হয় তাকে। পকেটে টান পড়ায় সবজি বিক্রি করেই সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন অধ্যাপক।
প্রায় ১১ বছর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপনা করেছেন সন্দীপ। বেশ ভালো চলছিল সবকিছু। হঠাৎ মাঝপথে ছন্দপতন। বেশ কয়েক মাস নিয়ম মাফিক বেতন পাচ্ছিলেন না। বেতনও কাটা গেছে একাধিকবার। অগত্যা চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সন্দীপের কথায় ‘সময় মতো বেতন পাচ্ছিলাম না। যখন তখন বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। নতুন করে চাকরি পাওয়াও সহজ নয়। কিন্তু পরিবারের মুখে তো খাবার তুলে দিতে হবে। তাই শেষ পর্যন্ত সবজি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিই।’
বর্তমানে প্রতিদিন সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবজি বিক্রি করছেন তিনি। সন্দীপ জানিয়েছেন, অধ্যাপনা করে তিনি যা না বেতন পেতেন তার থেকে বেশি আয় করছেন সবজি বিক্রি করে। সারা দিন সবজি বিক্রি করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা। আর বাড়ি ফিরেই বই-খাতা নিয়ে বসে পড়েন তিনি।
এদিকে অভাবের তাড়নায় সবজি বিক্রি করলেও স্বপ্ন মরে যায়নি সন্দীপের। পড়াশোনাই তার কাছে সব। তাই এত অভাব, সংগ্রামের মধ্যে পড়া