
অন্টারিওর প্রায় সব আবাসন বাজারে ক্রেতারাই এখন চালকের আসনে রয়েছেন। এই অবস্থা ২০২৪ সালেও জারি থাকবে বলে আরবিসির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যাংকটি বলেছে, টরন্টোতে এমএলএস হোম প্রাইস ইনডেক্স নভেম্বরে ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে এবং আগস্ট থেকে এই অবস্থা চলছে। ব্যাংক অব কানাডার আগ্রাসী সুদের হার বৃদ্ধির কারণে চাহিদা-জোগান পরিস্থিেিত চাঙ্গাভাব না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আরবিসি বলেছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে টরন্টো এরিয়াতে মূল্য কার্যত অপরিবর্তিত ছিল। তবে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে কমছে। যদিও এই মন্দা কেবল ব্যয়বহুল গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার (জিটিএ) বাজারেই সীমাবদ্ধ নেই। অন্টারিওর সব আবাসন বাজারেই ক্রেতারা ন্যায়ত চালকের আসনে রয়েছেন। এর অর্থ হচ্ছে নতুন তালিকাভুক্তি বিক্রয়কে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কিছু অংশেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ সুদের হার, ক্রয়ক্ষমতা হারানো এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ক্রেতাদের চাহিদায় রাম টেনে ধরেছে এবং বস্ত থেকে জোগান-চাহিতা পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এর ফলে অধিকাংশ বাজার মূল্য সংশোধনের ভঙ্গিতে রয়েছে। স্বল্প মেয়াদে সুদের হার উচ্চই থাকবে। আমাদের বিশ^াস, বাড়ি মালিক হওয়ার উচ্চ ব্যয় ক্রেতাদের জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে থেকে যাবে। এই পরিস্থিতি অন্টারিও এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আবাসন বাজারের কার্যক্রমকে শ্লথ করে রাখবে।
জিটিএতে সব ধরনের বাড়ির দাম সর্বোচ্চে ওঠে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এটা ছিল ব্যাংক অব কানাডার প্রথম দফা সুদের হার বৃদ্ধির আগে। পরবর্তীতে অবশ্য বাড়ির গড় দাম ১০ লাখ ৭ হাজার ৫৪২ ডলারে নেমে আসে। তবে নির্ধারিত মর্টগেজের সুদের হার সাময়িক কমে আসার ফলে বসন্তে বাড়ির দাম আবার ঘুরে দাঁড়ায়।
আরবিসি বলছে, জুন থেকে বাড়ি বিক্রি ১৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা বসন্তে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তার ঠিক বিপরীত।