
এক হাজার ৩৫০ কোটি ডলারে আরবিসির এইচএসবি কানাডা অধিগ্রহণ অনুমোদন করেছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বিরোধী রাজনীতিক ও অন্যান্য গ্রুপের অধিগ্রহণ আটকে দেওয়ার আহ্বান সত্ত্বেও এই অনুমোদন দিয়েছেন তিনি।
অধিগ্রহণের ব্যাপারে কম্পিটিশন ব্যুরো গত সেপ্টেম্বরে অনুমোদন দেয়। এবার ফ্রিল্যান্ডের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে অধিগ্রহণের পথে সর্বশেষ বাধাটিও টপকে গেল আরবিসি।
আরবিসির ওপর কিছু শর্তের ভিত্তিতে মন্ত্রীর এই অনুমোদন পেয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে রয়েছে চুক্তি সম্পাদনের পর ছয় মাস পর্যন্ত এইচএসবির যে চার হাজার কানাডিয়ান কর্মী রয়েছে তাদের কাউকেই ছাঁটাই করা যাবে না। দুই বছরের মধ্যে ছাঁটাই করা যাবে কোনো নন-ফ্রন্ট কর্মীকে। এ ছাড়া চার বছর পর্যন্ত এইচএসবির অন্তত ৩৩টি শাখায় ব্যাংকিং কার্যক্রম জারি রাখতে হবে।
ফেডারেল সরকার আর্থিক খাতে প্রতিযোগিতা বাড়াতে পরামর্শ কার্যক্রমও শুরু করেছে। বড় ব্যাংকগুলোর মধ্যকার একীভবন আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হবে নাকি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বড় ব্যাংকগুলো কতটা বড় হবে সরকার তার সীমান বেঁধে দেবে সে সংক্রান্ত প্রশ্ন খতিয়ে দেখা হবে পরামর্শ কার্যক্রমে।
অনেকেই আরবিসির এইচএসবিসি কানাডা অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এই পরামর্শ শুরু করেছে সরকার। তাদের দাবি, এর ফলে ব্যাংকিং খাতে প্রতিযোগিতা সংকুচিত হয়ে পড়বে। এখনই ব্যাংকিং খাত খুব বেশি কেন্দ্রীভূত। কানাডার বৃহৎ ছয়টির দখলে রয়েছে মোট ব্যাংকিং সম্পদের প্রায় ৯৩ শতাংশ। আরবিসির এইচবিসি কানাডা অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলে এই হার বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫ শতাংশে।
চুক্তিটি বন্ধের দাবি জানিয়ে কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর বলেছেন, কানাডার ব্যাংকিং খাত খুব বেশি কেন্দ্রীভূত এবং এইচবিসি কানাডাকে হারানোর মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.