-2 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

অননুমোদিত যান এড়াতে অবতরণ থেকে বিরত থাকে উড়োজাহাজটি

অননুমোদিত যান এড়াতে অবতরণ থেকে বিরত থাকে উড়োজাহাজটি
এয়ার কানাডার বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি রানওয়েতে নামার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ছিল একই সময়ে গ্রেটার টরন্টো এয়ারপোর্ট অথরিটির জিটিএএ একজন চালক রক্ষনাবেক্ষণ গাড়ি নিয়ে রানওয়ে অতিক্রম করেন

অমনোযোগী এক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী চালিত অননুমোদিত একটি যান এড়াতে টরন্টো পিয়ারসন এয়ারপোর্টে প্রাথমিক অবতরণ চেষ্টা বাতিল করতে বাধ্য হয় একটি উড়োজাহাজ। ২০২২ সালের ওই ঘটনায় ওই ব্যক্তি রানওয়েতে তার পথ অতিক্রিম করে যায়। ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড অভ কানাডার (টিএসবি) তদন্তকারী এই তথ্য জানিয়েছেন।

তদন্ত শেষে ওই ঘটনার ওপর তৈরি প্রতিবেদন ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করেছে টিএসবি। নিরপেক্ষ ফেডারেল সংস্থাটি বিমান, মেরিন, পাইপলাইন এবং রেল পরিবহনের দুর্ঘটনা তদন্ত করে থাকে।

- Advertisement -

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর মধ্যরাতের পরপরই ওই ঘটনা ঘটে। ওই সময় এয়ার কানাডার বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি রানওয়েতে নামার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ছিল। একই সময়ে গ্রেটার টরন্টো এয়ারপোর্ট অথরিটির (জিটিএএ) একজন চালক রক্ষনাবেক্ষণ গাড়ি নিয়ে রানওয়ে অতিক্রম করেন। রানওয়ে থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা পাওয়ার পরও ওই ঘটনা ঘটান তিনি। ঘটনাটি যখন ঘটছিল তখন এজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তা প্রত্যক্ষ করছিলেন এবং বিমানের ক্রুদের অবতরণ বাতিল করার নির্দেশনা দিতে সমর্থ হন। ফ্লাইট ক্রু ওই নির্দেশনা পরিপালন করেন এবং দ্বিতীয়বার চেষ্টার পর উড়োজাহাজটি শেষ পর্যন্ত অবতরণ করে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চালকের রানওয়ের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নেওয়ার কারণ ছিল তার মনোযোগ গাড়ি চালানোর দায়িত্ব এবং পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরির মধ্যে বিভক্ত ছিল। এ কারণেই এ বিষয়টিতে তার মনোযোগ কম ছিল। এ ছাড়া চালক যেহেতু না থেমেই বহুবার রানওয়ে অতিক্রম করেছেন তাই তার মধ্যে এমন মানসিক মডেল তৈরি হয়েছে যেখানে থামার কোনো স্থান নেই। এমনকি থামার নির্দেশ পড়ার পরও।

এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে জিটিএএর একজন মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তাই কর্তৃপক্ষের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সব ধরনের ঘটনাই তারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে রানওয়েতে অনুপ্রবেশের ঘটনা খুবই বিরল এবং সবাই যাতে আমাদের এয়ারফিল্ডে নিরাপদ থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে থাকি। এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রতিবেদনটির বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের সঙ্গেও আমরা কাজ করব।

২০১০ সাল থেকে সংস্থাটি রানওয়েতে অনুপ্রবেশের বিষয়টিতে নজর রাখছে। ২০১০ সালে প্রতি এক লাখ আগমন ও নির্গমনে অনুপ্রবেশের হার ছিল গড়ে ৫ দশমিক ৩। বর্তমানে তা দ্বিগুন হয়ে প্রতি এক লাখে ১০ দশমিক ৭টিতে উন্নীত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৭১টি।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles