
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন- খবর পেয়েছি, সরকার বিরোধীদের ফাঁসাতে ২৮ অক্টোবরের মতো পুলিশ, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করতে পারে। ৪ হাজার ভোটকেন্দ্র পোড়াবে। যাতে বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহিংস হিসেবে দেখাতে পারে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ানবাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে বাংলামোটর মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নুর বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা হঠাৎ নাশকতা ও গুপ্তহত্যার কথা বলছেন। সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি সড়ক-পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নাকি গুপ্তহত্যা ঘটাতে এজেন্ডা ঠিক করেছে। পুলিশের আইজিপিও নাশকতার কথা বলছেন।
তিনি বলেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র নেতারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে, প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে পারছেন না- সেখানে তারা কিভাবে নাশকতা, গুপ্তহত্যার প্ল্যান করবে? অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ও সরকারের এজেন্সি যে গুপ্ত হত্যা ও নাশকতার প্ল্যান করছে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা আগেই সেটি বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর দায় চাপাতে চাচ্ছে।
নুর বলেন, কয়েক দিন আগে আপনারা দেখেছেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে নাশকতার দুদিন আগেই ডিএমপি থেকে স্বাস্থ্য বিভাগকে চিঠি দিয়ে ঢাকায় হাসপাতালসমূহে স্ট্যান্ডবাই ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবা প্রস্তুত রাখতে চিঠি দিয়েছিল। কারণ তারা ভয়াবহ নাশকতার প্ল্যান করেছিল, আল্লাহ রক্ষা করছে। একইভাবে তারা সামনে বড় ধরনের নাশকতা, গুপ্তহত্যার প্ল্যান করেছে।
তিনি বলেন, জনগণকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। সরকার জনগণকে রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না, জনগণ যেদিন রাস্তায় নামতে পারবে সেদিনই গণঅভ্যুত্থান ঘটবে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই ভারতীয় তাবেদার সরকারকে হঠিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।
নুর জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, আপনারা ভারতীয় মদদের দেশ ধ্বংসের এই একতরফা নির্বাচন বর্জন করুন। ৭ তারিখ কেউ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন না। প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ আপনারা এই একতরফা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনবেন না। এই একতরফা নির্বাচনে জড়িতদের ইউরোপ-আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেবে।
বাংলামোটর মোড়ে রূপায়ন টাওয়ারের নিচে পথসভা শেষে ইস্কাটন রোডের দিকে গণসংযোগ শুরু করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনি ক্যাম্পের কর্মীরা এসে স্লোগান ও লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে বলে এবং গালিগালাজ শুরু করে। মুহূর্তেই আরেক দল সন্ত্রাসী এসে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান যে গাড়িতে ওঠেন, সেই গাড়িতে হামলা করতে উদ্যত হয়। তখন গাড়ির পেছনে থাকা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের মেরে আহত করে নির্বাচনি ক্যাম্পের কর্মীরা। সাংবাদিকরা ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকদের দিকেও তেড়ে যায় তারা।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মামুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনসহ দলের নেতাকর্মীরা।