
প্রতি বছরই কানাডায় বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়ছে। এটা বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদার স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা।
জাতীয় শিল্প সংগঠন ইলেক্ট্রিক মোবিলিটি কানাডার নীতি বিষয়ক পরিচালক লুইস লেভেস্ক বলেন, বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি যে আগ্রহ তা অনেক বেশি। এই আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।
পরিবেশমন্ত্রী স্টিভেন গাইলবোল্ট গত সপ্তাহে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রয় নীতিমালা প্রকাশ করেছেন। সেখানে ২০৩৫ সালের মধ্যে শতভাগ কার্বন নিঃসরণমুক্ত গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কানাডার বাজার এরই মধ্যে কীভাবে কার্বন নিঃসরণমুক্ত গাড়ির দিকে যাচ্ছে সেটাও উল্লেখ করেছেন পরিবেশমন্ত্রী।
কিন্তু কিছু পর্যবেক্ষক বলছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার ও চাহিদার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। উপাত্ত বলছে, অধিকাংশ কানাডিয়ান এখনো বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে আগ্রহী নন, যা গাইলবোল্টের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে কঠিন করে তুলবে।
কানাডাভিত্তিক অটোমোটিভ গবেষণা ও পরামর্শ প্রতিষ্ঠান ক্ল্যারিফাই গ্রুপ ইনকর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট নিয়েল হিসকক্স বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে আমরা যদি বিক্রিত গাড়ির শতভাগ ভৈদ্যুতিক গাড়িতে উন্নীত করতে চাই, তা এখন আমরা যে পথে আছি সে অবস্থায় সম্ভব নয়। গাড়ি যদি না থাকে, সেগুলো যদি সাশ্রয়ী না হয় তাহলে এই রূপান্তরে আপনি যেতে পারবেন না।
সাম্প্রতিক উপাত্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে প্রবৃদ্ধির সাক্ষ্য দিচ্ছে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার এক
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নিবন্ধিত সব নতুন গাড়ির মধ্যে ১২ দশমিক ১ শতাংশ জিরো-এমিশন ভেহিকল (জেডইভি)। এ হার ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে বেশি। গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নিবন্ধিত নতুন গাড়ির মধ্যে জেডইভি ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং কতুইবেকের মতো স্থানে বিক্রিত প্রতি পাঁচটি নতুন গাড়ির মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি একটি।