আমরা পরিবারের চারজন পহেলা জানুয়ারি পবিত্র উমরাহ পালন করি। ইসলামি স্কলার ড. মনির আল কাসেম আমাদের গাইড ও পরামর্শক। তাঁর নির্দেশনা মোতাবেক আমরা উমরার নিয়মাবলী পালন করি। মদিনা এবং মক্কায় তিনি আমাদের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানেও নিয়ে যান। প্রতিদিনই কিছু না কিছু জানান। আজ তিনি আমাদের কাবার ইতিহাস সম্পর্কে বর্ণনা করেন।
কাবা সংলগ্ন হিল্টন হোটেলের কনফারেন্স রুমে তিনি বলেন, ইতিহাসে সর্বপ্রথম নির্মাণ থেকে সর্বশেষ সময় পর্যন্ত ১২ বার কাবাঘরের সংস্কার ও সম্প্রসারণ হয়েছে। ১. সর্বপ্রথম কাবাঘর ফেরেশতাগণ নির্মাণ করেন। ২. এরপর পুনর্নির্মাণ করেন যথাক্রমে হজরত আদম (আ.), ৩. হজরত শিষ (আ.), ৪. হজরত ইব্রাহিম (আ.), ৫. আমালিকা সম্প্রদায়, ৬. জুরহাম সম্প্রদায়, ৭. কুসাই বিন কিলাব, ৮. মোযার সম্প্রদায়, ৯. মক্কার কুরাইশগণকে নিয়ে হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
এ সময় তিনি হাজরে আসওয়াদকে বর্তমান স্থানে স্থাপন করেছিলেন। ১০. এরপর ৬৪ হিজরিতে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রা.), ৭৪ হিজরিতে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ এবং ১১ তম বার ১০৪০ হিজরিতে ওসমানিয়া খলিফা তুরস্কের বাদশা চতুর্থ মুরাদ।১২. ১৯৮৪ সালে সৌদি রাজা কিং খালেদ। এটাই আজ পর্যন্ত কাবাঘরের সর্বশেষ সংস্কার কাজ।
পবিত্র কাবা শরিফ পৃথিবীতে আল্লাহর জীবন্ত নিদর্শন। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই আল্লাহ তাআলা কাবাকে তাঁর মনোনীত বান্দাদের মিলনমেলা হিসেবে কবুল করেছেন। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। যা পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত।পবিত্র কোরআনে (সূরা ইমরান: ৯৬) কাবা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটিই হচ্ছে এই ঘর, যা বাক্কায় (মক্কা নগরীতে) অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়।’
সৌদি পরিসংখ্যান মতে ২০২৩ সালে ১৬০ দেশের প্রায় ২০ লাখ লোক হজ্ব পালন করেন। গত বছর আনুমানিক ৩ কোটি লোক উমরাহ পালন করেন যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার ৩০৭ জন। ২০২৪ সালের প্রথম দিনের এই উমরাহ আল্লাহ কবুল করুন। আমিন।