কানাডার সর্বোচ্চ বেতনভোগী ১০০ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ২০২২ সালে তাদের আয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। কানাডিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অল্টারনেটিভ এই তথ্য দিয়েছে।
সংস্থার জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ডেভিড ম্যাকডোনাল্ড বলেন, এই বছরের উপাত্ত আগের সব উচ্চতাকে ছাপিয়ে গেছে।
সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিইওদের পরিশোধ করা হয়েছে গড়ে ১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। ২০২১ সালে যেখানে পরিমাণটা ছিল গড়ে ১ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত এই সিইওদের সিংহভাগই পুরুষ।
সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হিসাবে ঘণ্টাপ্রতি তাদের বেতন দাঁড়ায় ৭ হাজার ১৬২ ডলার, যা সাধারণ কানাডিয়ানদের বেতনের ২৪৬ গুণ। নতুন বছরের মাত্র দুই দিন অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যেই কানাডার সাধারণ একজন কর্মীর বার্ষিক আয়ের সমপরিমাণ আয় করে ফেলেছেন এই সিইওরা।
২০২২ সালে সাধারণ কানাডিয়ানদের সঙ্গে সিইওদের বেতনের পার্থক্যটা আরও বেড়েছে। কারণ, সাধারণ কানাডিয়ান কর্মীদের বেতন ৩ শতাংশ বাড়লেও সিইওদের বেতন বেড়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। একই সময়ে অর্থাৎ ওই বছরে পণ্যমূল্য বাড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
সিইওদের আয়ের বড় অংশ আসে বেতন বাবদ নয়। বোনাস, কোম্পানির শেয়ার ও স্টক অপশন থেকে। সত্যি বলতে কিছু সিইওর কোনো বেতনই নেই।
সর্বোচ্চ আয়কারীদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে রেস্টুরেন্ট ব্র্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান জে, প্যাট্রিক ডোয়িলের নাম। টিম হর্টন্স, বার্গার কিং ও পপিয়েসের মালিক কোম্পানিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ২০২২ সালে কোম্পানি থেকে পেয়েছেন ১৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার। তার আয় এসেছে মূলত শেয়ার থেকে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ডাই অ্যান্ড ডারহাম লিমিটেডের সিইও ম্যাথিউ প্রাউড। অপশনভিত্তিক অ্যাওয়ার্ড বাবদ ২০২২ সালে কোম্পানি থেকে তিনি পেয়েছেন ৯ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মাগনা ইন্টারন্যাশন ইনকর্পোরেশনের সিইও সীতারামা কোটাগিরি। বেতন ও শেয়ার বাবদ ২০২২ সালে কোম্পানি তাকে দিয়েছে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
এই তালিকায় বিভিন্ন খাত যেমন আর্থিক, প্রযুক্তি, জ¦ালানি, টেলিকম ও স্বাস্থ্যখাতের সিইওরাও রয়েছেন। শীর্ষ আয়কারী সিইওদের তালিকায় নারী রয়েছেন মাত্র চারজন। এটাকে তাই ছেলেদের ক্লাব বলে উল্লেখ করেন ম্যাকডোনাল্ড।