
২০২৩ সালে সময়ানুবর্তিতায় (অন-টাইম পারফরম্যান্স) উত্তর আমেরিকার প্রধান বিমানবন্দরগুলোর সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে। যদিও এয়ারলাইনটি মুনাফায় ফিরে এসেছে। নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।
গত বছর এয়ারলাইনটির ৬৩ শতমাংশ ফ্লাইট সময় মেনে অবতরণ করেছে, যা সময়নাবর্তিতার বিচারে উত্তর আমেরিকার প্রধান দশটি এয়ারলাইনের মধ্যে সর্বনি¤œ অভস্থান। এর অর্থ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজারবার এয়ার কানাডার উড়োজাহাজ দেরিতে গেটের কাছে এসেছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে গড়ে ১৫ মিনিট বিলম্বে পৌঁছেছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বনি¤œ অবস্থানে থাকা জেটব্লু এয়ারওয়েজ ও ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইন্সের চেয়ে এয়ার কানাডার স্কোর ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। কানাডার অন্য প্রধান এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে ওয়েস্টজেটের অবস্থান তালিকায় সপ্তম। তাদের স্কোর ৬৯ শতাংশ।
সময়ানুবর্তিতার তালিকায় সবার উপরে আছে চেল্টা এয়ার লাইন। তাদের স্কোর ৮৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আলাস্কা এয়ারলাইন্সের স্কোর ৮২ শতাংশ।
তবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য ছোট এয়ারলাইনগুলোর সময়ানুবর্তিতা এয়ার কানাডার চেয়েও খারাপ। কিন্তু আকারের কারণে সেগুলোকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য এয়ার কানাডার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি তারা।
মন্ট্রিয়লভিত্তিক কোম্পানিটি এর আগে উচ্চ চাহিদার মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করেছিল।
জুন ও জুলাইয়ে ফ্লাইট বিলম্বের পর এয়ার কানাডার র্যাংকিংয়ে দুর্বল অবস্থানের কথা স্বীকার করেন এয়ারলাইনটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল রুশো। গত আগস্টে তিনি বলেন, কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের পরও এয়ারলাইনের পরিচালন কার্যক্রম কাক্সিক্ষত চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য দুর্যোগপূর্ণ আবহাও বিশেষ করে বিজলিঝড় এবং বৈশি^ক সরবরাহ সমস্যাকে এক্ষেত্রে প্রধান কারণ। আমাদের সময়ানুবর্তিতায় উন্নতি আনতে প্রচুর সময় ব্যয় করছি আমরা।