
কোভিড-১৯ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের জন্য ক্ষমা চাইলেন অন্টারিওর আইনসভার স্বতন্ত্র সদস্য র্যান্ডি হিলার। পোস্টে মৃত ব্যক্তিদের ছবি ও নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে তাদের।
লানার্ক-ফ্রন্টেনাক-কিংস্টনের প্রতিনিধি র্যান্ডি হিলার মহামারির পুরো সময়জুড়েই কোভিড-১৯ নিয়ে ভুল তথ্য ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করে আসছেন। সাম্প্রতিক এক পোস্টে তিনি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে ছবি ব্যবহার করে লেখেন, তার বিশ^াস তাদের মৃত্যু আকস্মিক ও ব্যাখ্যাতীত এবং ভ্যাকসিনের সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে সে ব্যাপারে পুলিশের প্রতি তদন্তের দাবি জানান।
মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ কেউ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে এ ব্যাপারে বলেন, হিলারের পোস্টে তারা ক্ষুব্ধ এবং তার অভিযোগ তারা অস্বীকার করেন। আইনসভাও সর্বসম্মতভাবে তার নিন্দা জানিয়ে গত মাসে একটি প্রস্তাব পাস করে।
এ ঘটনার জন্য শুক্রবার রাতে ক্ষমা চান হিলার। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছি এবং তার এ
কাজে কোনো পরিবার ক্ষুব্ধ হলে তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।
অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যেসব মৃত্যুর খবর জনস্বাস্থ্য ইউনিটের কাছে এসেছে সেগুলোর পুক্সক্ষানুপুক্সক্ষ তদন্ত হয়েছে। তদন্তে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো মৃত্যুই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ফলে সৃষ্ট ইমিউন থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার কারণে হয়নি।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। চারজনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে পাশর্^প্রতিক্রিয়া কিছুটা দায়ী থাকতে পারে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এটা প্রধান কারণ নয়। বাকি তিনজনের মৃত্যুর সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই।
অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আরও যে ৩০ জনের মৃত্যুর তথ্য জনস্বাস্থ্য ইউনিটের কাছে এসেছে সেগুলোরও তদন্ত চলছে। তবে প্রাদেশিক সার্ভিল্যান্সের যে সংজ্ঞা তার আওতায় আসেনি।
অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন বলছে, যাদের একাধিক কো-মরবিডিটি আছে সেগুলো এসব মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকতে পারে। এর সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, কার্যকর ও নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ার পরই ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।