
অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ন্যুনতম মজুরি বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত তিন বছর আগে বাতিল করে দিয়েছিলেন তা পুনর্বহালের ঘোষণা দিয়েছেন। মিল্টনে মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে ন্যুনতম মজুরি ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৩৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৫ ডলার করার পরিকল্পনা করছে অন্টারিও।
সাংবাদিকদের ফোর্ড বলেন, এর ফলে পূর্ণকালীন কর্মীরা বছরে ১ হাজার ৩৫০ ডলার বাড়তি আয় করতে পারবেন। এ পরিবর্তনের ফলে লিকার সার্ভার ও হসপিটালিটি খাতের কর্মীদের ন্যুনতম মজুরিও ঘণ্টায় ১২ দশমিক ৫৫ ডলার থেকে ১৫ ডলারে উন্নীত হবে। সব মিলিয়ে এ পরিবর্তন অন্টারিওর ৭ লাখ ৬০ হাজার কর্মীর মজুরি বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে। কর্মীদের জন্য কাজ করার চেয়ে ভালো কিছু আমি আর ভাবতে পারি না।
সাবেক লিবারেল সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৯ সালের মধ্যে ন্যুনতম মজুরি ঘণ্টায় ১৫ ডলার কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু ডগ ফোর্ড সরকার গঠনের পর তা বাতিল করে দেন। এর পরিবর্তে ১৪ ডলারের বেশি বেতন বৃদ্ধি বার্ষিক মুল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী নির্ধারণ করেন।
স্বল্প আয়ের ক্ষেত্রে ট্যাক্স ক্রেডিটও পাস করেছিলেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। এর ফলে পূর্ণকালীন কমেয় নিযুক্ত ন্যুনতম মজুরিপ্রাপ্তরা প্রাদেশিক আয়কর থেকে অব্যাহতি পান। যদিও নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ বলছে, ন্যুনতম ১৫ ডলার মজুরি কার্যকর করলে ন্যুনতম আয়কারীরা যে সুবিধা পেতেন ট্যাক্স ক্রেডিট তাদের অবস্থাকে তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।
সরকার গঠনের পর কেন মজুরি বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাতিল করলেন ফোর্ডের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে জবাবে তিনি লো-ইনকাম ফ্যামিলিজ অ্যান্ড ইনডিভিজুয়ালস ট্যাক্স ক্রেডিট (লিফট) চালুর কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর আমরা লিফট ট্যাক্স ক্রেডিট প্রবর্তন করি। এর ফলে ২৮ হাজার ডলারের কম আয়কারীদের কোনো কর দিতে হয় না। সারাদেশের মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে সবচেয়ে কম আয়কর আদায় করে অন্টারিও। আমাদের অর্থনীতি আবার সচল হচ্ছে। আমি জনগণকে এটা স্মরণ করে দিতে চাই যে, প্রদেশ একটি অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ছিল।
এদিকে স্বাধীন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিসও ২০১৯ সালে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয় যে, ন্যুনতম মজুরিপ্রাপ্ত ৬৮ শতাংশ লিফট ট্যাক্স ক্রেডিট থেকে কোনো সুবিধা পাননি।
মঙ্গলবার ফোর্ড যখন মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের ঘোষণা দেন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিফরের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জেরি ডায়াস। তিনি বলেন, এটা একটা ভালো শুরু। প্রথমেই আমি যেটা মনে করি তা হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার জন্য দরকারি মজুরি (লিভিং ওয়েজ) দরকার আমাদের। টরন্টোতে ২২ ডলার লিভিং ওয়েজের জন্য আপনাকে ১৫ ডলারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অন্টারিওর লন্ডনে ১৬ দশমিক ২০ ডলার। সেক্ষেত্রে ঘণ্টায় ১৫ ডলার কে কি দারুন বলার সুযোগ আছে? উত্তর হলো ‘না’। তবে এটা কি ভালো শুরু বলার সুযোগ আছে? তাহলে উত্তর হবে ‘হ্যা’।