
কেন্দ্রীয় নিয়ম মেনে উভয় ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন না নেওয়ায় ৮০০ এর বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করেছে এয়ার কানাডা। তবে এয়ার কানাডার কেবিন ক্রু, কাস্টমার সার্ভিস এজেন্ট ও অন্যান্য মিলে যে ২৭ হাজার কর্মী আছে তার সিংহভাগই উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল রুশো।
বিনিয়োগকারীদের এক সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৯৬ শতাংশের বেশি এরই মধ্যে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন। যারা ভ্যাকসিন নেননি বা ভ্যাকসিন না নেওয়ার পেছনে স্বাস্থ্যগত কোনো কারণ নেই তাদেরকে অবেতন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
পুরো কোম্পানিজুড়েই এটা করা হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনো চাকরির ক্ষেত্রে নয় বলে মন্তব্য করেছেন এয়ার কানাডার মুখপাত্র পিটার ফিজপ্যাট্রিক। ছুটিতে পাঠানোর এ হার ওয়েস্টজেট এয়ারলাইন্সের মতোই। সেখানে ৭ হাজার ৩০০ কর্মীর মধ্যে ৩০০ অর্থাৎ ১০ শতাংশেরও কম ভ্যাকসিনেশনের বাইরে রয়েছেন।
৩০ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত আকাশ, রেল ও শিপিং কোম্পানিগুলোকে বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন নীতি কার্যকরের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
শীতে ভালো টিকিট বিক্রির সুবাদে গত প্রান্তিকের রাজস্ব ২০২০ সালের অবস্থায় উন্নীত হওয়ায় আশার আলো দেখতে পাচ্ছে এয়ার কানাডা। যদিও মহামারি-পর্ববর্তী সময়ের তুলনায় কম সক্ষমতা এবং বিপুল লোকসান নিয়েই এখনও কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে তাদের।
অভ্যন্তরীণ অবকাশ যাপনের জন্য বুকিংয়ে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। এর ফলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া ১০ হাজার কর্মীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫০০ কর্মী ছুটিতে ছিলেন জুলাই থেকে। তবে এখনও বাড়িতে থেকে কাজ চলমান থাকায় বিজনেস ভ্রমণ কমই হচ্ছে।
বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনে এয়ার কানাডার প্রধান বাণিজ্য কর্মকর্তা লুসি গিলমেট বলেন, বন্ধু ও পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার হারে আমরা বড় ধরনের উল্লম্ফন প্রত্যক্ষ করছি। এটা বেশি দেখা যাচ্ছে উত্তর আমেরিকা, আটলান্টিক ও সানি গন্তব্যগুলোতে। ২০২২ সালেই করপোরেট কানাডা অফিসে ফিরবে বলে আমরা আশা করছি। একই সঙ্গে বিজনেস ট্রাভেলও আগের অবস্থঅয় ফিরবে। তবে ব্যবসা যে কম হচ্ছে এ বিষয়ে কারও মনেই কোনো সন্দেহ নেই।
৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রান্তিকে এয়ার কানাডার রাজস্ব এসেছে গত বছরের একই প্রান্তিকের তিনগুণ। সমাপ্ত প্রান্তিকে এয়ার কানাডা ২১০ কোটি ডলার রাজস্ব পেয়েছে। ধারণক্ষমতাও বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। তবে ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যে পরিমাণ রাজস্ব এসেছিল এ রাজস্ব তার চেয়ে ৬০ শতাংশ কম। সক্ষমতাও ওই সময়ের চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ নিচে রয়েছে।
মন্ট্রিয়লভিত্তিক এয়ারলাইন্সটি চতুর্থ প্রান্তিকে তাদের ধারণক্ষমতা এক-চতুর্থাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৩৫ শতাংশে দাঁড়াবে।