
২০২৩ সালের জন্য ঘোষিত বাংলা একাডেমি পুরুস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন কানাডা প্রবাসী দুজন লেখক। সালমা বানী ও সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। দুজনকেই প্রানঢালা অভিনন্দন। গতবছর বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরুস্কার পেয়েছিলেন কানাডা প্রবাসী আরেকজন লেখক। তিনি টরন্টোতে বসবাসরত লেখক জসিম মল্লিক। জসিম ভাইকে দিয়ে শুরু। এবছর কবিতায় বাংলা একাডেমি পুরুস্কার পেয়েছেন কবি শামীম আজাদ। উনি থাকেন ইউকের লন্ডনে। মানে বাংলা একাডেমির এবছরের পুরস্কারপ্রাপ্তদের তিনজনই প্রবাসী।
ধীরে ধীরে উত্তর আমেরিকায় টরন্টো শহর বাংলা শিল্প ও সাহিত্যের চারন ভুমি হয়ে উঠছে। টরন্টো শহরে প্রতি সপ্তাহেই বাঙালীদের কোন না কোন অনুষ্ঠান হচ্ছেই। তার মধ্যে কবিতা আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক সন্ধা, নাটক, সাহিত্য আলোচনা উল্লেখযোগ্য। বই মেলাও হচ্ছে প্রতিবছর। দেশের বাইরে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও শিল্প চর্চা বেশ জোরেশোরেই চলছে। ভাবতেই ভালো লাগে।
প্রবাসীদের দ্বারা বাংলা একাডেমি পুরুস্কার পাওয়া নিয়ে দেশী সাহিত্যিকদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তির আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। ফেসবুকের পোস্ট ও ঢাকায় অনানুষ্ঠানিক কথা বার্তায় তার প্রমান মিলছে। কেউ কেউ বলছে, ডলারের প্রভাব! অথবা বাংলা একাডেমির বিদেশ মুখীতা।
প্রবাসীদের নিয়ে সমালোচনা নতুন কিছু নয়। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সটাই শুধু ভালো লাগে। তাদের মেধামনন, অবদান খুব একটা শ্বীকৃত নয়।
দেশের বাইরে থেকেও যারা বাংলাভাষা, শিল্প ও সাহিত্য চর্চা করছেন এবং আলো ছড়াচ্ছেন তাদের অবদানকে শ্বীকৃতি দিয়ে বাংলা একাডেমি প্রবাসীদেরকে সম্মানত করেছে। এজন্য একজন প্রবাসী হিসেবে বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ।