
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় বান্ধবীকে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন সাব্বির হোসেন (২৬)। পরে সেখান থেকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বান্ধবীকে আটক করেছে পুলিশ।
কলাবাগান থানার ওসি মফিজুল আলম বলেন, তরুণীর ভাষ্য- তিনি ঘুমিয়ে থাকার সময় গলায় ফাঁস দেন সাব্বির। গোঙ্গানির শব্দ শুনে তিনি জেগে উঠে সেই দৃশ্য দেখতে পান। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার দেওয়া তথ্যে পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সাব্বির বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে ধানমন্ডির শুক্রাবাদ এলাকায় থাকতেন।
সাব্বিরের ফুপাতো ভাই রায়হান জানান, তিনি রাতে খবর পেয়েছেন, স্কয়ার হাসপাতালের পাশে একটি আবাসিক হোটেলে বান্ধবীসহ উঠেছিলেন সাব্বির। সেখানে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি সেখানে গিয়ে সাব্বিরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান।
কলাবাগান থানার এসআই মিঠুন দাস জানান, মধ্যরাতে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সাব্বিরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ভোরে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।