
অনেক বছর আগের কথা। তা বছর দশেকতো হবেই, সম্ভবত ১৪ বছর আগের ঘটনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঢাকার একজন প্রিয় সাংবাদিককে ট্যাগ করেছিলাম তার অনুমতি ছাড়াই। ভেবেছিলাম এটা তার নিজের লেখার সমর্থনেই করেছি ফলে তিনি খুশী হবেন। কিছুক্ষণ পরেই দেখি তিনি ট্যাগটি রিমুভ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি তাকে ট্যাগ করাটা পছন্দ করেন নি। সেই থেকে বিগত চৌদ্দ বছর কাউকে অযাচিতভাবে ট্যাগ করি না।
পরিতাপের বিষয় হলো, আমার কিছু বিজ্ঞ ফেসবুক বন্ধু, বড় ভাই ক্রমাগত ট্যাগ করেই চলেছেন। আমি ট্যাগ দেখার সাথে সাথে আমার নাম রিমুভ করে দেই আর বিজ্ঞ বন্ধুরা বিরামহীনভাবে পরবর্তী ট্যাগ করতেই থাকেন। আমি যে রিমুভ করি এটা কি তারা টের পান না? নাকি বুঝেও বুঝেন না? অনেকেই তার যে কোন পন্ডিতি বিষয় ৯৯ জনকে ট্যাগ করেন, অথচ দেখা যায় ৯৯ জনের ৯ জন লোকও রিয়াক্ট করেন না! তাতেও উনাদের বোধোদয় হয় না। মুলত রাজনীতি ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আমার ইন্টারেস্ট নেই। আর এই রাজনীতি নিয়ে যারা কথা বলেন, ট্যাগ করেন, টকশো করেন অধিকাংশই নীতিহীন বিবেকবর্জিত এবং মিথ্যার বেসাতী ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিগত তিন সপ্তাহ যাবত প্রচন্ড অসুস্হ্যতাকালীন সময়ে এই মর্মে উপনীত হয়েছি যে ফেসবুক একটা চরম ফালতু জায়গা। ফাতরামীর সর্বোচ্চ স্তরের একটা গার্বেজ বিন। মানুষের হৃদয়ের যোগাযোগ, আন্তরিকতা সবকিছু গিলে খেয়ে ফেলেছে এই ফেসবুক। যার যা খুশী তাই করছে। কেউ দুটো পয়সার জন্যে, কেউ নিজে কি ছিঁড়ু খাঁ সেটা প্রমাণের জন্যে, কেউ বা স্রেফ নিঃসঙ্গতা কাটানোর উপায় হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়েছেন।
অপর আরো একটি বিড়ম্বনা হলো, আমি নিজে কোন পোষ্ট না দিলেও অন্যরা কে কোন গার্বেজে ময়লা ঢালছে তারও নোটিফিকেশন চলে আসছে আর আমি প্রতিদিন এই সব নোটিফিকেশন রিমুভ করি। যার যা খুশী করতে থাকুন দয়া করে আমাকে ট্যাগ করবেন না। প্লিজ। করলে ভাববেন, আমি খুশী হই নাই, আপনার কনটেন্ট পড়ার আগেই ডিলিট করে দিয়েছি।
স্কারবোরো, কানাডা