ব্যাপারটা একটি গল্পের সাথে যায়।
একদিন এক অতিথি বলেছিলেন শূকর খাওয়া শুধু হারাম না, শূকরের নাম মুখে আনাও হারাম।বল্লাম শূকরের নাম মুখে আনাও হারাম?
এবার আগের থেকে বেশি জোর দিয়ে তিনি বললেন অবশ্যই হারাম। এই যে আপনি শূকর বললেন তাতেও আপনার মুখ অপবিত্র হয়ে গেল।
তিনি নিজে কতবার পশুটির নাম উচ্চারণ করেছেন সেটা গণনা করে বললাম চলেন আমরা দুজন তাহলে ওজু করে আসি।
মনে হলো তিনি একটু ব্যাক গিয়ার নিলেন। আমিও হাল্কা হলাম।
শেষ প্রশ্নটি এবার করলাম। এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?
তার উত্তর ছিল খুব সলিড। সুত্রও দিলেন।
পাঠক ; সূত্রটির নাম আপনাদের জানা থাকলে এবং সেটা যদি কোন বই বা কেতাব হয়, আমি বিশ্বাস করি আপনারা ঘটনা বর্ননার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সঠিক ভাবে অনুধাবন করবেন। উত্তেজিত হবার কিছু নেই। লেখা আছে বলেই কি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা সমর্থন করবেন? পবিত্র হয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে সুরা পাঠের সময়ও শূয়রের নাম উচ্চারিত হয় (যা নিষেধের অন্তর্ভুক্ত)। কাজেই বুঝা যাচ্ছে কথা বলার সময় ওই লোকটা লাগাম ধরে রাখতে পারেনি। আমরা অনেকেই কোন কিছু বুঝতে গিয়ে এরকম সীমানা অতিক্রম করে ফেলি। কোনকিছু বইতে লিখে পড়ার জন্য বিলি করার উদ্দেশ্য হলো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানা কিংবা সচেতনতা তৈরি করা। যারা এই ছেঁড়াছিঁড়ি সমর্থন করেন তারা তো পৃথিবীকে ছিঁড়ে ফেলছে না। পৃথিবীর সবকিছু কি সবাই সমর্থন করে না কখনো করেছে?
যে আমার মতো নয়, তোমার মতোও নয়। সে যদি হয় তৃতীয়। তবে সে কার আলামত?
আসুন জানার জন্য পড়ি। যেমন; সুরা আর রাহমানের আয়াত।
“ফাবি আইয়ে আলা ই রাব্বি কু মা তুকাজ্জিবান ” বাংলা অর্থ হলো ;
“এবং তোমরা তোমার রবের কোন কোন নেয়ামত কে অস্বীকার করবে “।
11