
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এইজিংয়ের স্বাস্থ্য নীতি গবেষণা বিভাগের পরিচালক ডা. সমীর সিনহা বলেছেন, হোম কেয়ার পরিস্থিতি খুবই নাজুক। বেতন সমতা এ সংকট দূরীকরণে কিছুটা হলে কাজে আসতে পারে। অ্যাকিউট কেয়ার হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্স লং-টার্ম কেয়ার হোমে কর্মরত একজন নার্সের চেয়ে অনেক বেশি আয় করতে পারেন। আবার লং-টার্ম কেয়ার হোমের একজন নার্সের আয় একজন হোম কেয়ার নার্সের চেয়ে ঢের বেশি। বর্তমানে আমরা হোম কেয়ার জনশক্তির বিপুল হ্রাস দেখতে পাচ্ছি, বিশেষ নার্স। কোভিড-১৯ মহামারি হোম কেয়ার ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
যদিও অন্টারিওতে হোম কেয়ার সেবার চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। ৫৫ বছরের বেশি বয়সী এক হাজার মানুষের ওপর হোম কেয়ার অন্টারিও পরিচালিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার ফলাফল বলছে, বাড়তি সহায়তা পেলে তাদের ৯১ শতাংশই বাড়িতেই সেবা নিতে চান। যদিও এর আগে ৬৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই লং-টার্ম কেয়ার হোমে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিপুল সংখ্যক নার্স, পারসোনাল কেয়ার ওয়ার্কার ও থেরাপিস্ট হোম কেয়ারের কাজ ছেড়ে দেন। প্রদেশে হোম কেয়ার সেবাদাতাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হোম কেয়ার অন্টারিওর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্যান্ডার বেন্ট বলেন, স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা থেকে আমরা আক্ষরিক অর্থেই ৩ হাজারের বেশি নার্স, দক্ষ থেরাপিস্ট ও পারসোনাল কেয়ার ওয়ার্কার হারিয়েছি। যেসব
অন্টারিওবাসী হোম কেয়ার সেবা নেন তাদের জন্য এটা খুবই খারাপ খবর। আমাদের সক্ষমতা এখন এতোটাই হ্রাস পেয়েছে যে, হোম কেয়ার নার্স অথবা থেরাপিস্ট অথবা পারসোনাল কেয়ার ওয়ার্কারদের অপেক্ষায় লোকজন বাড়িতে বসে আছেন।
মহামারির আগে সংগঠনটির রেফারেল অ্যাকসেপ্ট্যান্স হার ছিল ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ হোম কেয়ার চেয়ে আবেদনের সিংহভাগই তারা রাখতে পারত। বর্তমানে এ হার ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। ‘হোম কেয়ারের জন্য এটা একটা সংকট’, বলছিলেন ভ্যান্ডার বেন্ট। তার ভাষায়, হোম কেয়ার ওয়ার্কারদের অনেকেই ভালো বেতনের কারণে হাসপাতাল বা লং-টার্ম কেয়ার হোমে চাকরি নিয়েছেন।
অন্টারিওতে প্রতি বছর প্রায় ৯ লাখ মানুষ হোম কেয়ার সেবা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৩০ হাজার জনই সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ব্যবস্থা থেকে সেবাটি নিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে হাজারো অন্টারিওবাসী হয় সীমতি পরিসরে হোম কেয়ার সেবা পাচ্ছেন অথবা আদৌ পাচ্ছেন না।