16.1 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

কানাডার বেকারত্বের হার বেড়েছে

কানাডার বেকারত্বের হার বেড়েছে - the Bengali Times
এপ্রিলে খোয়া গেছে ২ লাখ ৭ হাজার চাকরি

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে জারি করা নতুন বিধিনিষেধের কারণে কানাডার বেকারত্বের হার শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ১ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জানুয়ারিতে ২ লাখ ১৩ হাজার মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে। গত বছরের আগস্টের পর এটিই দেশটিতে সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার। চাকরি হারানো কর্মীদের সবাই খণ্ডকালীন এবং তারা কুইবেক ও ওন্টারিও প্রদেশে রিটেইল খাতে কর্মরত ছিল।

এদিকে, কানাডার শ্রমবাজার থেকে এপ্রিলে খোয়া গেছে ২ লাখ ৭ হাজার চাকরি। নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি আরোপ ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা কানাডার শ্রমবাজারে এ পরিণতি ডেকে এনেছে।

- Advertisement -

স্যাটিস্টিকস কানাডার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলে কানাডায় বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশে। মার্চে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে চাকরি চাইছেন অথচ খুঁজছেন না এমন ব্যক্তিদের হিসাবে নিলে এপ্রিলে কানাডায় বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।

এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি চাকরি খোয়া গেছে অন্টারিওতে ১ লাখ ৫৩ হাজার। এছাড়া ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় ২০২০ সালের এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো কর্মসংস্থান কমেছে।

জাতীয়ভাবে খ-কালীন চাকরির চেয়ে পূর্ণকালীন চাকরি বেশি খোয়া গেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে নতুন করে লকডাউন ও বিধিনিষেধ আরোপের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন খুচরা খাতের তরুণ কর্মীরা। তবে লকডাউন অব্যাহত থাকায় এই মাসে আরও চাকরি খোয়া যাবে বলে মনে করছেন সিআইবিসির প্রধান অর্থনীতিবিদ রয়েস মেন্ডেজ।

কানাডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিয়াহ নর্ড বলেন, কর্মী ও ব্যবসার ওপর শ্রমবাজারের সাম্প্রতিক এই ধাক্কার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব থাকবে। এটা ‘কে’ শেপড পুনরুদ্ধার নয়। এটা ‘কে’ আকৃতির সংকট, যেখানে গ্রাফটি উর্ধ্বমুখী হওয়া শুরু করলে হচ্ছেই এবং নি¤œমুখী হলেও হয়েই চলেছে। ভয়ের যথেষ্ট কারণ রয়েছে এখানে।

ল্যামার মার্কেট ইনফরমেশন কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বেহনোশ আমেরি বলেন, এই ভীতি অথবা দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ক্ষতির ফলে দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্ব ডেকে আনতে পারে। ছয় মাস বা তার বেশি সময় বেকারত্ব বইতে হতে পারে আরও ২১ হাজার কর্মীকে। এর ফলে তাদের সংখ্যাটা ৪ লাখ ৮৬ হাজারে উন্নীত হতে পারে। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ৩২ হাজার কর্মী কমপক্ষে এক বছর ধরে বেকার রয়েছেন, মহামারি-পূর্ব সময়ে যা ছিল ৯৯ হাজার। এর অর্থ হলো প্রতি পাঁচজনের মধ্যে অন্তত একজন এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে চাকরির তালাশ করছেন।

এপ্রিলে নতুন করে চাকরি খোয়া যাওয়ার পর কানাডায় চাকরির ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ১০০টি বা মহামারি-র্প্বূবর্তী স্তরের চেয়ে ২ দশমিক ৬ শতাংশ কম। তবে প্রকৃত ব্যবধান আরও বেশি হবে বলে মনে করছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা।

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles