
পোস্ট-সেকেন্ডারি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়াতে চান না বলে ৩১ জানুয়ারি জানিয়েছেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিক দুরবস্থা এবং একটি প্যানেলের সুপারিশ সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
ফোর্ড সরকার ২০১৯ সালে কানাডিয়ান শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ১০ শতাংশ কমান এবং এরপর থেকে তা একই অবস্থায় রয়েছে। সরকারি গঠিত একটি প্যানেল অবশ্য প্রদেশের প্রতি টিউশন ফি বৃদ্ধির ওপর এই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া পরিচালন অনুদান বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে।
গাড়ি চুরি প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ডগ ফোর্ড বলেন, শিক্ষার্থীদের পকেটে হাত দেওয়ার এখন সময় বলে আমি মনে করি না। বিশেষ করে তাদের পকেটে যারা সত্যিই সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
তবে প্যানেলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কী পদক্ষেপ নেবে সে ব্যাপারে কিছু বলেনি প্রদেশ। তারা বলেছে, দক্ষতা খুঁজে পেতে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করবে। এ ধরনের কথা ফোর্ড বারবারই বলে আসছেন। তিনি বলেন, যেভাবেই পারি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা আমাদের কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে পুরো ব্যবস্থার মধ্যে দক্ষতা আনা হবে। আপনারা বিশ^াস করেন আর না করেন কিছু ক্লাস আছে যেখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছয় থেকে সাতজন। এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
স্থানীয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি হ্রাস এবং তা স্থিতাবস্থায় রেখে দেওয়ার পাশাপাশি কম প্রাদেশিক তহবিল অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজস্বের বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে বাধ্য করছে। বিশেষ করে কলেজগুলোর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর কোনো স্থিতাবস্থা নেই এবং এটাকেই তারা রাজস্ব বাড়ানোর উপায় হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.