2.9 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

মুক্তি পেয়েই মির্জা ফখরুল বললেন- ‘আন্দোলন চলবে’

মুক্তি পেয়েই মির্জা ফখরুল বললেন- ‘আন্দোলন চলবে’ - the Bengali Times
সংগৃহীত ছবি

সাড়ে তিন মাস পর কারামুক্ত হয়ে চলমান আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথমে বের হয়ে আসেন তিনি। এর ৪ মিনিট পর আসেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

কারাগার থেকে মির্জা ফখরুল বের হয়ে এলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাদের বরণ করেন। কর্মীরা নেতাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভাইয়ের ভয় নাই, আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘আমীর খসরু ভাই এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে’, মহাসচিবের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি, খসরু ভাইয়ের মুক্তি আন্দোলনের শক্তি’, ‘জিয়া, খালেদা, তারেক জিন্দাবাদ জিন্দবাদ’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন।

- Advertisement -

এ সময় নেতাকর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। ইনশাল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে।’

পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্র শক্তিকে কবজা করে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে। আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যদি দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে ততদিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে তাইফুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েক শ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কারাগারে মুক্তির সময় বিএনপি মহাসচিবকে আনতে তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগম, বিএনপি মহাসচিবের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৯ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবং ২ নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদ্স্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পরে ২৮ অক্টোবর বিএনপিরর মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং খসরুর বিরুদ্ধে দশটি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাটি ছাড়া সব মামলায় তারা বিভিন্ন সময়ে জামিন পেয়ে যান। বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনার মামলায় বিএনপি এই দুই শীর্ষ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার সকালে দুই নেতার আইনজীবীরা বিভিন্ন মামলার জামিন আদেশ, প্রোডাকশন ওয়ারেন্টসমূহ প্রত্যাহারের আদেশসমূহ সব ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার পর বিকালে মুক্তি পেলেন বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles