10.7 C
Toronto
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

‘কোথায় আছি জানি না, এখানে অনেক ঠাণ্ডা’

‘কোথায় আছি জানি না, এখানে অনেক ঠাণ্ডা’
ছবি সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আজ থেকে প্রায় এক মাস আগের। এর মধ্যে নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন গৃহবধূর বাবা-মা ও স্বজনরা। এত খোঁজাখুঁজির পরও নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান না পেয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নিখোঁজ গৃহবধূর মা সুমি বেগম।

জানা গেছে, নিখোঁজ গৃহবধূ খাজিদা আক্তার ময়নার বাবার বাড়ি একই উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামে। তিনি সেলিম মিয়া বড় মেয়ে। ময়নার সাথে প্রায় সাত বছর আগে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মো. রমজান মিয়ার ছেলে সৌদিপ্রবাসী রাসেল মিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ওই গৃহবধূ তাবাসসুম (০৫) সামে একটি কন্যাসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন স্বামীর বাড়িতে। গত ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।

- Advertisement -

প্রায় এক মাস পার হলেও কোনো সন্ধান মেলেনি ওই গৃহবধূর।

ময়না নিখোঁজ হওয়ার পর সম্প্রতি একটি ভয়েস বার্তা প্রকাশ পায়। ভয়েস বার্তা প্রকাশের পর ঘটনাটি মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। ময়নার স্বামীর কাছে পাঠানো ভয়েস বার্তায় গৃহবধূ তার স্বামীর উদ্দেশে বলেন, আমারে কিভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবা না, আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা (স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠাণ্ডা।

স্বামীর কাছে ইমোর মাধ্যমে খাদিজা আক্তার ময়নার পাঠানো ভয়েস বার্তাটি স্বামী প্রবাসী রাসেল মিয়া ময়নার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়নার চাচা মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার ভাতিজি একজন সরল-সহজ মেয়ে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি কি নিখোঁজ না কি গুম তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। এদিকে আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নার শ্বশুর-শাশুড়িকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে।

বিজয়নগর থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে এবং গৃহবধূকে উদ্ধারের বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles