
বেতন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে নি¤œ আদালতের রায় বহাল রেখেছে অন্টারিওর সর্বোচ্চ আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা হবে না বলে ডগ ফোর্ডের সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামনের সপ্তাহে প্রদেশ আইনটি প্রত্যাহার করে নেবে।
ফোর্ড সরকার নীতি সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়ার যে দীর্ঘ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এটি তার মধ্যে সর্বশেষ। এবার দেখে নেওয়া যাক কী কী নীতি থেকে ফোর্ড সরকারকে পিছু হটতে হয়েছে।
বেতন বৃদ্ধির সীমা আরোপ সংক্রান্ত আইন: ২০১৯ সালে প্রদেশ বিল ১২৪ পাস করে। এতে তিন বছরের জন্য সরকারি খাতের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ১ শতাংশ। শিক্ষক ও নার্সরাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
কোর্ট অব আপিল ফর অন্টারিও আইনটিকে দর-কষাকষির অধিকারের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে। পরবর্তীতে একে অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়া হয়। প্রদেশের এর বিরুদ্ধে আপিলের আবেদনের সুযোগ রয়েছে। তবে ফোর্ড সরকার সে পথে না হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ১৩ ফেব্রুয়ারি বলেছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আইনটি বাতিলের সঙ্গে তিনি একমত। সরকারের ঘাটতি কমানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকার আইনটি পাস করেছিল।
পিল ভেঙে দেওয়া: পিল রিজিয়নের উচ্চ-স্তরের মিউনিসিপালিটি ভেঙে দেওয়ার যে পরিকল্পনা ফোর্ড সরকার এর আগে করেছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তা থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়। সরকারের আগের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে মিসিসোগা, ব্র্যাম্পটন ও ক্যালেডন স্বতন্ত্র সিটির স্বীকৃতি পেত।
সরকারি পরিকল্পনাসমূহ: এই ফলের গোড়ার দিকে মিউনিসিপাল বিষয়ক মন্ত্রী পল ক্যালেন্ড্রা কিছু মিউনিসিপাল অফিসিয়াল পরিকল্পনা এবং শহর ও আঞ্চলিক সীমানা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অনেক মিউনিসিপালিটি ও অঞ্চল সরব হয়। তারা বলে, আরও বেশি বাড়ি নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন নেই।
গ্রিনবেল্ট: এ বছর সরকারের নীতি থেকে সরে আসার সবচেয়ে বড় নজির হচ্ছে সংরক্ষিত গ্রিনবেল্টের কিছু জমি আবাসনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। অডিটর জেনারেল ও ইন্টিগ্রিটি কমিশনার উভয়েই প্রক্রিয়াটিতে নির্দিষ্ট কিছু ডেভেলপারকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করার পর ডগ ফোর্ড গ্রিনবেল্ট থেকে জমি অবমুক্ত করার জন্য ক্ষমা চান।
লাইসেন্স প্লেট: ২০১৯ সালের বাজেটে ফোর্ড নতুন ব্লু লাইসেন্স প্লেট চাুল করেন। কিন্তু রাত্রিকালে প্লেটগুলো দেখা যায় না বলে কিংস্টনের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানানোর পর সরকার দ্রুতই তা চালু থেকে সরে আসে। এখন আর সরকার এ ধরনের লাইসেন্স প্লেট ইস্যু করছে না।
সরকার আরও যেসব নীতি থেকে পিছু হটেছে তার মধ্যে রয়েছে অটিজম, জনস্বাস্থ্য, ই-লার্নিং ও শ্রেণির আকার, ফ্রেঞ্চ ইউনিভার্সিটি এবং লিগ্যাল এইড।