
২০২০ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে সম্মুখসারীর কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু কবে তারা বর্ধিত বেতন পান সে সম্পর্কে নিরীক্ষকদের কোনো তথ্য দিতে পারেননি স্বাস্থ্য বিভাগ, লং-টার্ম কেয়ার হোম ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সম্মুখসারীর কর্মীদের বর্ধিত বেতন প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও জুনের মাঝামাঝির আগে তা শুরু হয়নি বলে তথ্য উঠে এসেছে মহামারি সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যয়ের ওপর পরিচালিত এক নিরীক্ষায়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেওয়া শত শত কোটি ডলার ত্রাণ তহবিল ঠিক কোথায় গেছে তার সঠিক তদারিকতে ব্যর্থ হয়েছে অন্টারিও সরকার। সম্মুখসারীর কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি এর মধ্যে অন্যতম বলে জানায় নিরীক্ষকরা।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যোগ্য সম্মুখসারীর কর্মীরা ঠিক কবে থেকে বর্ধিত বেতন পাওয়া শুরু করবেন মন্ত্রণালয়গুলো সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। বিষয়টি তারা তদারিক করতেও ব্যর্থ হয়েছে। যোগ্য ব্যক্তির কাছে তহবিল যাচ্ছে কিনা সেটা যাচাইয়েও কর্মসূচিটিতে প্রক্রিয়াগত দুর্বলতা ছিল।
নিরীক্ষায় যে ধরনের বিষয় ধরা পড়েছে এটা তার একটি উদাহরণ। কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বেশিরভাগ উদ্যোগেই আবেদনের ও তার অনুমোদন সঠিক পদ্ধতি মেনেই হয়েছে। তবে ভেটিং, নথিকরণ ও কর্মসূচির অগ্রগতি সম্পর্কিত অবহিতকরণে নিরবচ্ছিন্নতার অভাব খুঁজে পেয়েছে লিসিকের কার্যালয়।
নিরীক্ষকরা যতগুলো উদ্যোগ মূল্যায়ণ করে দেখেছেন তার মধ্যে ১৭টির ক্ষেত্রে তহবিলের সঠিক ব্যবহার ও বিতরণ সম্পর্কিত যাচাই-বাছাই কাজে সঠিক প্রক্রিয়ার ঘাটতি পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ধারণা ছিল ২ হাজার ৪০০ চিকিৎসক অন্টারিও টেলিমেডিসিন নেটওয়ার্ক থেকে ভার্চুয়াল হেলথ কেয়ার টুলস ব্যবহার করবেন। কিন্তু জুন শেষে মাত্র ২৪৬ জন চিকিৎসক নাম লিখিয়েছিলেন। মহামারির আগে নাম লিখিয়েছেন তারাও আছেন এর মধ্যে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরও ধারণা ছিল, ১২ কোটি ৯৭ লাখ ডলার ব্যয়ে অন্টারিওর লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে ১ হাজার ৫৬০টি শয্যা যুক্ত হবে। যদিও জুন শেষে মাত্র ১২ লাখ ডলার ব্যয়ে ৯৭টি শয্যা যুক্ত করা গেছে।