
কেপস ফর কিডসের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও সচেতনতা তৈরির এক অনন্য উপায় বেছে নিয়েছেন ডা. রাজিন রাজেন্দ্রম। গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহ ও সচেতনতা সৃষ্টির কাজটি করছেন তিনি।
রাজেন্দ্রম বলেন, আমার গল্পটি শুরু হয়েছিল অনেক বছর আগে, আমি যখন তরুণ ছিলাম। এবং শ্রী লংকার দুই তামিল শরনার্থীর সন্তান হিসেবে স্কারবোরোতে আমার জীবন শুরু হয়। যেসব জিনিসের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হচ্ছিল সেগুলোর সঙ্গে আমার যোগাযোগের মাধ্যম ছিল হিপ হপ। পরের দিকে অটিজমে আক্রান্ত একজনের ভাই হিসেবে হিপ তপ আমাকে সত্যিই তাড়িত করে এবং অবশেষে আমি লিখতে শুরু করি।
বর্তমানে তিনি টরন্টোর হল্যান্ড ব্লুরভিউ কিডস রিহ্যাবিলিটেশন হসপিটালে ডেভেলপমেন্টাল পেডিয়াট্রিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। সেখানে তিনি শিশুদের শিক্ষা ও আচরণগত বিষয়গুলো শিখিয়ে থাকেন। অটিজম ও অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি) তার মধ্যে অন্যতম। শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এক্ষেত্রে বিশেষ করে হিপ-হপ ও র্যাপ সংগীত ব্যবহার করেন।
রাজেন্দ্রম বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি দেখেছি যেসব কিশোর ও তরুণের সঙ্গে প্রতিদিন আমি কথা বলি তাদের সঙ্গে যোগাযোগে এই সংগীত সত্যিই খুব কাজে দেয়।
২০১৭ সাল থেকে রেজএমপি শিরোনামে গান থৈরি করছেন রাজেন্দ্রম। সর্বশেষ ‘অ্যালবাম বি রাইট দেয়ার’সহ তার অন্যান্য একক গানগুলো স্পটিফাই, অ্যাপলমিউজিক এবং স্ল্যাপসে পাওয়া যাচ্ছে। তার রোগীদের মধ্যে গানগুলো তুমুল জনপ্রিয়। তার নতুন গান ‘আই অ্যাম’ এর সমস্ত অর্থ কেপস ফর কিডসের বার্ষিক তহবিল সংগ্রহে দান করে করে দিচ্ছেন।
প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বসবাসকারী কিশোর ও তরুণদের কর্মসূচি ও সেবার জন্য তহবিল সংগ্রহ করাই সংগ্রাহকদের উদ্দেশ্য। এসব কর্মসূচি ও সেবার মধ্যে রয়েছে স্বাধীন কর্মশালা, মিউজিক থেরাপি কর্মসূচির জন্য সরঞ্জাম ক্রয় এবং যেসব পরিবারের হুইলচেয়ারের মতো সামগ্রীর প্রয়োজন তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া। সেই সঙ্গে যাতায়াত ব্যয় বহন করাও এর আরেকটি উদ্দেশ্য।
রাজেন্দ্রম বলেন, এ বছর আমাদের লক্ষ্য ১০ লাখ ডলারের বেশি সংগ্রহ করা। আমার লক্ষ্য হচ্ছে সম্প্রতি প্রকাশিত আমার অ্যালবাম ও গান ‘আই অ্যাম’ এর মাধ্যমে এ বছর তহবিল সংগ্রহ করা এবং এই গান স্ট্রিমিং থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ আমি হাসপাতালে দিয়ে দিচ্ছি।