
গাজীপুরে এক মা তার সন্তানকে বিক্রি করে ফেলেন। সন্তানকে বিক্রির পর তিনি অনুশোচনায় ভোগেন। পরে অনুশোচনা থেকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেন সন্তানকে ফিরে পেতে। এরপর ৯৯৯ এর ফোনে সেই মা তার সন্তানকে ফিরে পান।
রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই মা বলেছেন- আমি একটা ভুল কইরা ফালাইছি। তিন দিন আগে আমার এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। আমার স্বামী নাই। তারে মানুষ করতে পারমু না ভাইব্বা পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি কইরা দিছি। আগের ঘরের ছয় বছর বয়সী আরেকটা মেয়ে আছে। প্রথম ঘরের মেয়েরে মাইন্না নেয় না দেইখা দ্বিতীয় স্বামীর লগে তিন মাস আগে ছাড়াছাড়ি হইয়া গেছে। মেয়ে বিক্রির টাকা এহনো ছুইয়া দেখি নাই। ওই টাকা ফিরাইয়া দিয়া আমার মেয়েরে আমি ফিরত চাই। দয়া কইরা উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। আমার মা-বাবা কোনো আত্মীয় নাই। আমি এতিম।
ফ্রিল্যান্সারের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধরা ডিবির কয়েকজন সদস্য
এমন তথ্য জানিয়ে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে একজন নারী কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি আরো বলেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল আনোয়ার কোনাবাড়ি থানায় বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই ইমদাদুল হক কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে কোনাবাড়ি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কলার মা যার মাধ্যমে সন্তান বিক্রি করেছিলেন তার প্রতিবেশি একজন সবজি বিক্রেতার কাছ হতে ক্রেতার ঠিকানা সংগ্রহ করে গাজীপুরের নামাপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে কলার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেয়। কোনাবাড়ি থানা পুলিশ দলের নেতৃত্ব দেওয়া এসআই কামরুজ্জামান ৯৯৯ কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।