
বিপাকে থাকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রায় ১৩০ কোটি ডলার তহবিল দেওয়ার কথা ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করেছে অন্টারিও সরকার। একই সঙ্গে টিশন ফির ওপর স্থিতাবস্থা আরও তিন বছর বহাল রাখার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
পোস্ট সেকেন্ডারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রদেশের বাইরের দেশীয় শিক্ষার্থী বা অন্টারিওর বাইরে বসবাসকারী কানাডিয়ানদের টিউশন ফি ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। নতুন আইনের মাধ্যমে সরকার আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আনবে। এর ফলে কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় বিষয়ক মন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের ব্যয় সংক্রান্ত আরও তথ্য চেয়ে নির্দেশিকা জারি করতে পারবেন।
স্ট্রেনদেনিং অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড স্টুডেন্ট সাপোর্টস অ্যাক্ট অনুযায়ী, সরকার চায় পাঠ্যবই ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের খরচের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক ফির স্বচ্ছতা। এর অর্থ কী তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে যে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে তাতে খরচ কোর্স সিলেবাসে প্রকাশ করতে হবে।
টিউশন ফির স্বচ্ছতার জন্য অন্টারিও পরামর্শও করবে, যাতে করে অর্থ কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সে ব্যাপারে লোকজন আরও ভালো ধারণা পায়। কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়গুলোর মানসিক স্বাস্থ্য ও কল্যাণ সংক্রান্ত নীতি থাকতে হবে। পাশাপাশি বর্ণবাদ ও বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়েরও নীতি থাকতে হবে। সেখানে শুধু ইহুদিবিদ্বেষ এবং ইসলামোফোবিয়াই অন্তর্ভুক্ত থাকবে না।
আইনটি কলেজগুলোকে ফলিত মাস্টার’স ডিগ্রির চালুর সুযোগ করে দেবে। এই ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সরকার শিক্ষার্থীদের কর্মবাজারের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা দিতে ক্যারিয়ার পোর্টাল চালু করবে।
প্রশ্ন হলো তহবিল কীভাবে বিভাজিত হবে? সিংহভাগ অর্থাৎ ৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার আগামী তিনি বছর পোস্ট সেকেন্ডারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হবে। ব্যাপকভিত্তিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে ৭০ কোটি ডলার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর প্রয়োজনে দেওয়া হবে ২০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে ভৌগলিক অবস্থান, মোট শিক্ষার্থী ভর্তি এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরতা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
আরও ১৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার দেওয়া হবে মূলধনী সংস্কার ও যন্ত্রপাতি বাবদ। ছোট, উত্তরাঞ্চল ও গ্রামীণ অনুদান হিসেবে এককালীন তহবিল হিসেবে দেওয়া হবে ১ কোটি ডলার। কীভাবে সাশ্রয় করা যেতে পারে তা খুঁজে দেখেত তৃতীয় পক্ষের মূল্যায়নে সহায়তা বাবদ তিন বছরে দেওয়া হবে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। স্টেম প্রোগামে সহায়তা বাবদ দেওয়া হবে ১০ কোটি ডলার, গবেষণা ও উদ্ভাবন বাবদ ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা জোরদারে দেওয়া হবে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।