9.7 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

দগ্ধ শিশুকে নিয়ে ছুটছিলেন মিমি, পথে শুনলেন তার সন্তানই সংকটাপন্ন

দগ্ধ শিশুকে নিয়ে ছুটছিলেন মিমি, পথে শুনলেন তার সন্তানই সংকটাপন্ন - the Bengali Times
দগ্ধ সোলায়মান

কারখানা থেকে বাসায় ফিরে ইফতার বানাচ্ছিলেন মিমি আক্তার। তখন হঠাৎ দুষ্টুমি করে এক মুঠো বুন্দিয়া নিয়ে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় তার ৮ বছরের ছেলে সোলায়মান। মা মৃদু বকুনি দিলেও সে গায়ে মাখেনি। মিমিও আর তার দিকে নজর দেননি।

এর মধ্যে ইফতারের আগে হঠাৎ করে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় গ্যাস সিলিন্ডার। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি হন্তদন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। বাইরে এসে দেখেন ভয়ানক কাণ্ড, লোকজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে গলিতে পড়ে কাতরাচ্ছে। সবার শরীর পুড়ে গেছে। তিনি এগিয়ে যান, দেখতে পান আগুনে গুরুতর দগ্ধ এক শিশুকে।

- Advertisement -

এ সময় শিশুটির যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বুকে তুলে নেন মিমি। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ছুটতে শুরু করেন। কিন্তু পরিচিত একজনের মারফত জানতে পারেন, বুন্দিয়া নিয়ে ঘর থেকে বেরোনো তার নিজের সন্তানের অবস্থাই সংকটাপন্ন!

মিমি জানান, গলি থেকে বের হওয়ার আগেই পরিচিত একজন এসে বলেন, কার বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছ? তোমার বাচ্চার অবস্থাই তো খারাপ। তখন তিনি একটি ঘরে গিয়ে নিজের সন্তানকে খুঁজে পান। কিন্তু পুড়ে কালো হয়ে যাওয়ায় নিজের সন্তানকেও তার অচেনা লাগছিল। পরে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসেন।

শিশুটির বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি সিদ্ধ ডিম বিক্রি করি। আমার স্ত্রী বেফোর্ড নামে একটি জুতার কারখানায় কাজ করে। গতকাল বিকেলে আমার ছোট ছেলে সোলায়মান মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফেরে। একটু পর সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হতে থাকায় সবাই সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করছিলাম। সেই দৃশ্য দেখতে যায় সোলায়মান। তখনই সে পুড়ে যায়।

চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে যাওয়া সোলায়মানের অবস্থা সংকটাপন্ন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলছে। ক্রমশ অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে (কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস) রাখা হয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles