
যশোরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের এক কিশোরী লেখাপড়া ছাড়ার পর প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় একই এলাকার শুভ নামে এক যুবকের সঙ্গে। এরপর থেকেই সে জড়িয়ে পড়ে মাদকসহ আজে-বাজে নেশায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই কিশোরী। ধরা পড়ার পর পুলিশকে সে জানায়, প্রেমিক শুভর জন্য ফেনসিডিল আনতে সে চুয়াডাঙ্গা গিয়েছিল।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক মানিক চন্দ্র গাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মাদক পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতিক কুমার দত্তসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স কালীগঞ্জ কোটচাঁদপুর সড়কের পাতবিলা সেলিমের ইট ভাটার সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় যশোরগামী যাত্রীবাহী গরিবশাহ বাস থামিয়ে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এসময় ওই কিশোরীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ৮ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করা হয়।’
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, তার প্রেমিকের কথায় সে চুয়াডাঙ্গা থেকে ফেনসিডিল আনতে গিয়েছিল। কয়েক বছর আগে তার মাকে ছেড়ে বাবা অন্যত্র চলে গেছে। এখন সে যশোরে তার মায়ের কাছে থাকে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ওই কিশোরীকে আটকের খবর দেওয়ার জন্য তার বাবা-মাকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু উত্তরে তার বাবা মেয়ের দ্বায়িত্ব একেবারেই এড়িয়ে যান। অপরদিকে, তার মা জানিয়েছে এলাকার সঙ্গদোষে তার মেয়ে উচ্ছন্নে গেছে। সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিল। এখন লেখাপড়া বাদ দিয়ে সে বখাটেদের সঙ্গে মিশছে। তাই তার কিছুই করার নেই। এরপর ওই কিশোরীকে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে ঝিনাইদহ আদালতে পাঠানো হয়।’