
রাজধানীর বনানী গোডাউন বস্তিতে লাগা আগুনে প্রায় ২০০টির মতো ঘর পুড়ে গেছে। এই আগুনে ঘর ছাড়া হয়েছেন অনেকে। আগুনে সব কিছু পুড়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে এখানকার বস্তিবাসীকে ইফতার করতে হচ্ছে।
রোববার (২৪ মার্চ) ইফতারের মুহূর্তে বনানী গোডাউন বস্তি এলাকায় এ চিত্র দেখা যায়।
বনানী গোডাউন বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, অশ্রুভেজা চোখে দু’টি পেঁয়াজু দিয়ে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে ইফতার করছেন আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি। কান্নাবিজরিত কণ্ঠে তিনি বলেন, ভেবেছিলাম আজকে কাজ থেকে ফিরে ঘরে বসে ইফতার করব। কিন্তু আগুন আমার সবকিছু ছারখার করে দিয়েছে। সারাদিন রোজা রেখেছি, আগুনের সময় অনেক চেষ্টা করেছি ঘরটিকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু পারিনি। এখন পুরে যাওয়া ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ইফতার করতে হচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে ইফতার সারেন আসাদুল ইসলামও। গোডাউন বস্তিতে লাগা আগুনে তারও থাকার ঘরটি পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই ঘরে ইফতার করি। কিন্তু আজকে যে পুরা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ইফতার করতে হবে, সেটি কখনো ভাবিনি। আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ঘরে থাকা টাকা-পয়সা, মালামাল সবকিছু পুড়ে আগুনে ছাই হয়ে গেছে।
আরও দেখা যায়, শুধু আব্দুল হালিম কিংবা আসাদুল ইসলাম নন, বস্তির এক কোণে দাঁড়িয়ে এভাবে ইফতার করছেন অনেকেই। সাজানো গোছানো সংসার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দেখে অনেকেরই চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।
এর আগে, রোববার বিকেল ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বনানীর এ বস্তিতে। সোয়া ৪টায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরবর্তীতে আরও ৭টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেয়। অবশেষে ১০টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।