
উপমহাদেশের জীবন্ত কীংবদন্তি সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ করলেন আজ। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সংগীত তারকা রুনা লায়লা আমাদের দেশের গর্ব। মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থ রাখুন এবং দীর্ঘায়ু জীবন দান করুন-আমিন আমিন সুম্মা আমিন।
ছবিতে জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা ও বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মুস্তফা মনোয়ার এর সাথে আমরা সাংবাদিক বন্ধুমহল।
রুনা লায়লা ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্ম গ্রহণ করেন। রুনা লায়লার বয়স যখন আড়াই বছর তখন তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।

বরেণ্য শিল্পী রুনা লায়লা দীর্ঘ পাঁচ দশকের সংগীত জীবনে বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবিসহ ১৯ টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গানে কন্ঠ দিয়েছেন। সংগীত জীবনে এরই মধ্যে বর্ণাঢ্য ৬০ বছর পূর্ণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কণ্ঠশিল্পী।
বিশিষ্ট সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুবল দাসের সুরে নজরুল ইসলাম পরিচালিত “স্বরলিপি” ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার,স্বাধীনতা পুরস্কার সহ দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই তারকা। দীর্ঘ ছয় দশকে অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন রুনা লায়লা। পাশাপাশি বাংলাদেশকে সাফল্যের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।দেশাত্মবোধক, লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক সব ধাঁচের গানই গেয়েছেন তিনি।
চলচ্চিত্রের গানে অনবদ্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রুনা। অনন্য কণ্ঠ, অধ্যবসায়, একাগ্রতা, চর্চা, সময়জ্ঞান- সব মিলিয়ে এতো দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসেও রুনা লায়লার তুলনা শুধু তিনিই।
বলাবাহুল্য নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান সুরের পাখি রুনা লায়লা।
সংগীতের পাশাপাশি নাচেও বেশ পারদর্শী রুনা লায়লা। ৪ বছর বুলবুল একাডেমি করাচিতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শিখেছিলেন এ তারকা। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক একটি চলচ্চিত্রে।