
গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল নুর বলেছেন, নাইন-ইলেভেনের পর মুসলিম বিশ্বে ইসলামী রাজনৈতিক শক্তির দমনে আন্তর্জাতিকভাবে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদের যে ধোঁয়া তোলা হয়েছিল ভারতীয় তাঁবেদার এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে দেশেও ভারতের পরামর্শে সেই জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদের ধোঁয়া তুলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকেছে। আজকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বুঝতে পেরেছে কার্যত এ দেশে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ বলতে যা আছে তা সরকার ও ভারতের সৃষ্টি।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) মুসলিম মলীগের উদ্যোগে ঢাকার একটি হোটেলে রাজনীতিবিদের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আজ আবারও বুয়েটে হিজবুত তাহরীর, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তুলছে।
দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বুয়েটে মেধাবী শিক্ষার্থী আবরারকে হত্যার পর ছাত্রলীগের যে অপরাজনীতির কবর রচিত হয়েছে, সেই অপরাজনীতিকে আবার চালু করার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বমহল থেকে আওয়াজ তুলছে। বুয়েটকে পাকিস্তান, জঙ্গিবাদ মৌলবাদ বলে মন্তব্য করে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অপমান করছে। যাদের বুয়েটে পড়ার যোগ্যতা হয়নি তার বুয়েটকে ধ্বংসে ছাত্ররাজনীতি প্রবেশে চাপ দিচ্ছে, ছাত্রলীগের নেতারা দলবল নিয়ে বুয়েটে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের হুমকি দিচ্ছে। আমাদের পরিষ্কার কথা, বুয়েটের ছাত্রদের সাথে অন্যায় হলে আমরা ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে রাজপথে নামব।
তিনি আরো বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা যে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সারা দেশের লক্ষ-কোটি মানুষ সেটাকে সমর্থন করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সারা দেশের মতো বুয়েট দখলে ছাত্রলীগের অপরাজনীতি চালু করতে চাচ্ছে।
স্বাধীন দেশে আজকে আমরা পরাধীনের মতো জীবন যাপন করছি। যেখানে বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার নেই। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে। কাজেই আমরা যে ৬৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছি আসুন ফ্যাসিবাদ হটাতে একসাথে বা যুগপৎভাবে আন্দোলনে নামি। আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় তাঁবেদার সরকার হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
অনেকেই আছে নির্বাচনে যাননি, কিন্তু তলে তলে সরকারের সাথে সমঝোতা করে চলছে। তাই তারা আন্দোলনেও নামছে না। কাজেই রাজপথের আন্দোলনেই দেখা যাবে কারা জনগণ, গণতন্ত্রের পক্ষে।