
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্ভাব্য বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা তাকে জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা স্টেফানি পেরো। বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত কমিশনের সামনে ২৮ মার্চ একটি নথি উপস্থাপন করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, টরন্টো রাইডিং ডন ভ্যালি নর্থের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে সে সময় বলেছিলেন পেরো।
কানাডিয়ানদের ভোট প্রদানে ও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা ইলেকশন্স কানাডার প্রধান হিসেবে পেরোর দায়িত্ব। পেরোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের একটি গোপন নথিতে বলা হয়েছে, মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নির্বাচনের মতো একই প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি বলে সে সময় জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় অন্য অংশগ্রহণকারীদের কেউ অভিযোগ জানাননি।
২০২৩ সালের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয় যে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ডন ভ্যালি নর্থে লিবারেল প্রার্থী হিসেবে হ্যান ডঙ্গের মনোনয়নে হস্তক্ষেপ করেছিল চীন। ২৮ মার্চের শুনানিতে লিবারেল পার্টির মনোনয়ন প্রতিযোগিতার সঙ্গে সম্পৃক্ত কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস) বিষয়টি তার সামনে উপস্থাপন করেছিল কিনা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে পেরো বলেন, নথিতে যা উল্লেখ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি কিছু বলার এখতিয়ার তার নেই।
কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে মনোনয়ন প্রতিযোগিতা নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। নথিটি অফিস অব দ্য কমিশনার অব কানাডা ইলেকশন্সে পাঠানো হয়। হস্তক্ষেপের অভিযোগ যেমন নির্ভুলতা, পূর্ণাঙ্গতা অথবা নথিকরণের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তদন্ত করে তারা।
তদন্ত শুনানিতে ২০১৯ ও ২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনে চীন, ভারত, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের হস্তক্ষেপের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।