
ফেডারেল কার্বন ট্যাক্সের সমালোচনায় প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অন্টারিওর খামারী ও ছোট ব্যবসাগুলো। তারা বলছে, এর ফলে তাদের পকেট থেকে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হচ্ছে।
অন্টারিও ফেডারেশন অব এগ্রিকালচারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু স্পোয়েলস্ট্রা হ্যামিল্টনের দক্ষিণপূর্ব কোণে একটি খামারের মালিক। তিনি বলেন, গত ফলে আড়াই হাজার টন শস্য শুকাতে কার্বন ট্যাক্স বাবদ তার খরচ হয়েছে সাড়ে চার হাজার ডলার। হ্যামিল্টনের আরেকটি গ্রিনহাউসকে ১৩ হাজার ৬১৪ ডলার গ্যাস বিলের বিপরীতে কর পরিশোধ করতে হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৭ ডলার। আমরা পরিচ্ছন্ন পরিবেশের পক্ষে। কিন্তু খামারীদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। যে খাবার আমরা তিন বেলা খাই তা উৎপাদনে আমাদের জ্বালানি ব্যবহার করতেই হয়।
বার্ষিক নির্ধারিত বৃদ্ধির অংশ হিসেবে কানাডার কার্বন দূষণ মূল্য ১ এপ্রিল থেকে টনপ্রতি ১৫ ডলার বেড়েছে। এই নীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনা। ফেডারেল সরকার ভোক্তাদের জন্য তাদের আয়কর বিবরণীর অংশ হিসেবে কোনো রিবেট সুবিধা রাখেনি।
কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড্যান কেলি বলেন, আমাদের হিসাবে কার্বন ট্যাক্সের যে বোঝা তার ৪০ শতাংশ পড়ছে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ওপর। কিন্তু ফেডারেল সরকার এই অর্থের কোনো রিবেট দেয়নি, যা তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল।
জ্বালানি মাশুলের ফলে যে প্রভাব তার জন্য খামারীদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট ট্যাক্স ক্রেডিটের ব্যবস্থা। খামারের জন্য প্রতি এক হাজার ডলার খরচের বিপরীতে ১ দশমিক ৮৬ ডলার রিবেট দেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি কৃষিজমি আবাদে ডিজেল ও গ্যাসোলিনের ওপরও কর অব্যাহতি দিয়ে থাকে ফেডারেল সরকার। যদিও প্রাকৃতিক গ্যাস ও প্রোপেইনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য নয়।