
গত দুটি ফেডারেল নির্বাচনে চীনের গোপন ও প্রতারণামূলক হস্তক্ষেপের বিষয়টি কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা জানত। অতি গোপনীয় ব্রিফিং নথিতে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তে ৮ এপ্রিল এই নথি উপস্থাপন করা হয়।
ছয় পৃষ্ঠার নতিটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তুত করা হয় এবং এর শিরোনাম ‘ব্রিফিং টু দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স অফিস অন ফরেন ইন্টারফিয়ারেন্স থ্রেটস টু কানাডা’স ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশন্স’। ২০২২ সালের ফলে বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জন্য এটি তৈরি করে কানাডিয়ান সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস)।
নথিতে বলা হয়েছে, বিদেশি হস্তক্ষেপ বিষয়ে সিএসআইএস ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অসংখ্য কেবিনেট মন্ত্রীদের ৩৪টি ব্রিফিং সরবরাহ করা। সর্বশেষ ফেডারেল নির্বাচনে হস্তক্ষেপও এর মধ্যে অন্তর্গত। এ ব্যাপারে ট্রুডোকে অবহিত করা হয় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি এবং ২০২২ সালের অক্টোবরে।
নথির উপসংহারে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সফলভাবে কানাডার ব্যাপারে হস্তক্ষেপে সমর্থ হয়েছে। কারণ, এর আইনি ও রাজনৈতিক পরিণতি খুবই কম। এর অর্থ হচ্ছে, বিদেশি হস্তক্ষেপের ঝুঁকি অনেক কম এবং পুরস্কার অনেক বেশি। সরকারকে এ ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই বদলাতে হবে এবং ফলদায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার ইচ্ছা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নত সুরক্ষায় পরিণাম আরোপ করতে হবে। লিবারেল সরকারের প্রতিশ্রুত ফরেন এজেন্টস রেজিস্ট্রি এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। তবে সেটা কেবল বৃহত্তর টুলকিটের অংশ।