
টিম হর্টন্সের নির্বাহী ও পাচকরা গত কয়েক বছরে সমন্বিতভাবে হাজার হাজার ফ্ল্যাটব্রেড পিৎসার স্বাদ নিয়েছেন। ফাস্ট-ফুড চেইনটির লক্ষ্য এবার রেস্তোরাঁগুলোতে ফ্ল্যাটব্রেড পিৎসা আনা, তাদের তরুণ ও বয়স্ক গ্রাহকদের তুষ্ট করবে। কিন্তু তাদের লক্ষ্য আরও গভীর। নাস্তার বাইরেও দোরগোড়ায় ডিনারকে নিয়ে আসা।
টিমের প্রধান বিপণনন কর্মকর্তা হোপ বাগোজ্জি সম্প্রতি চেইনটির টরন্টো টেস্ট কিচেনে বসে বলেন, সকালের মেন্যুতে আমরা সত্যিই শক্তিশালী। কিন্তু বিকালের মেন্যুতেও এই সুযোগ আছে বলে আমরা বুঝতে পেরেছি। আমাদের আকৃতির একটি প্রতিষ্ঠানের বাজার হিস্যা এখনো এক অংকের ঘরে। বলা যায়, বিকালের মেন্যুর সম্ভাবনা সত্যিই কাজে লাগানো হচ্ছে না। চিজ, পেেেরানি, বেকন এভরিথিং এবং চিকেন পারমেসান চালুর দুই বছর পর সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আশা করছে টিম হর্টন্স। সেটা করা হচ্ছে এর ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এক মাস আগে।
ফাস্ট-ফুড বাজারে এটা টিমসের প্রবেশ বলা যায়। রেস্টুরেন্টস কানাডার গত বছরের তালিকায় পাঞ্জেরোত্তিস ও ক্যালজোন্সের পাশাপাশি পিৎসা ছিল সবচেয়ে বেশি ক্রয়াদেশ দেওয়া ষষ্ঠ আইটেম। রেস্টুরেন্ট রিসিটে এর হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
এর বেশিরভাগই বিক্রি হয় বিকালে অথবা সন্ধ্যায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিরকানার হিসাব অনুযায়ী, কুইক সার্ভ রেস্টুরেন্ট ভিজিটের এক-চতুর্থাংশ হয় এই সময়ের মধ্যে।
সিরকানা ফুড ইন্ডাস্ট্রি বিশ্লেষক ভিন্স সগাবেলোনি টিম হর্টন্সের ঘোষণার আগে বলেছিলেন, তারা কেবল সকালেই অনেক মানুষের খাবার সরবরাহ করে। কিন্তু দিনের অন্য সময়ও লোকজনকে আপ্যায়ন করার সক্ষমতা ও সামর্থ্য দুটোই তাদের রয়েছে। টিমস বলেন বা অন্য কেউ প্রত্যেকেরই একটি ব্যস্ততম সময় আছে এবং তারা দিনের অন্যান্য সময়ও কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।