
মেয়ের বাড়ি থেকে গরু কেনার জন্য টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নাজমা আক্তার নামে এক নারী। পথে চার ব্যক্তি তার হাতে ছুরিকাঘাত করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ছিনতাইকারীদের দেখে চমকে উঠেন তিনি।
ওই চারজনের দুজন তার সহোদর ভাই, অপর দুইজন সৎভাই। এ ঘটনায় চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে টেংগাপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার উপজেলার সমাজ-সহিলদের ইউনিয়নের হাছলা গ্রামের মৃত নবাব মিয়ার মেয়ে। আর অভিযুক্তরা হলেন- নাজমা আক্তারের ভাই শফিক মিয়া (৩৫), আনিছুর রহমান (৪৫), মুশফিকুর রহমান (৩৮) ও বাবু মিয়া (৩৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজমা মঙ্গলবার নেত্রকোনা শহরে গিয়ে তার মেয়ের কাছ থেকে গরু কেনার দুই লাখ টাকা নেন। এ সময় তার ছেলে ও চার ভাই পাশেই ছিলেন। টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় বাসে করে মোহনগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করেন নাজমা। সঙ্গে ছেলে ও চার ভাইও আসেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে জেলার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে নেমে অটোরিকশাতে ওঠার সময় নাজমার হাতে ছুরিকাঘাত করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ওই চার ভাই।
এ সময় ব্যাগে থাকা সোনার চেইনও নিয়ে যায়। তার সঙ্গে থাকা ভাইয়েরা ছিনতাইকারী এটা দেখে চমকে যান নাজমা। মাকে বাঁচাতে গেলে মুশফিকুজ্জামান ইফাতকেও কিলঘুসি দিয়ে আহত করে চলে যান ওই চারজন। পরে নাজমাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাজমার ছেলে মুশফিকুজ্জামান ইফাত বাদী হয়ে তার চার মামার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার জানান, মেয়ের কাছ থেকে গরু কেনার জন্য দুই লাখ টাকা নিয়ে আসি। টাকা নেওয়ার সময় আমার ছেলে ও চার ভাই সঙ্গে ছিল। টাকাগুলো ও এক ভরি ওজনের সোনার চেইন ব্যাগে রেখে সবাই একসঙ্গে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেই। মোহনগঞ্জ পৌঁছেই চার ভাই আমার ব্যাগ নেওয়ার জন্য টানাটানি শুরু করে। বাধা দিতেই হাতে ছুরিকাঘাত করে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আমার ছেলে তাদের আটকাতে গেলে তাকেও কিলঘুসি মেরে আহত করে চলে যায়।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চারজন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।