
মুস্তাফিজুর রহমান কাণ্ডে ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার তৃতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কি না। যদিও সংশ্লিষ্টরা এতে তেমন শঙ্কা দেখছেন না।
মিরপুরে ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় মুস্তাফিজের এক ভক্তের কাণ্ড৷ করোনাকালে বায়োবাবল ভেঙে তার মাঠে প্রবেশের ঘটনা, রীতিমতো জন্ম দিয়েছে সমালোচনার৷ অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ম্যাচ চলাকালীন মুস্তাফিজকে উঠিয়ে নেওয়া হয়৷ রোববার পুরো দলের করা হবে একদফা কোভিড পরীক্ষা৷ অনেক যদি কিন্তু নির্ভর করছে ম্যাচ রেফারির দেওয়া রিপোর্টের ওপর৷ আটককৃতকে নেওয়া হয়েছে পুলিশি হেফাজতে৷
পাকিস্তানের ইনিংসের ১৩তম ওভার, নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না মাঠ কিংবা টিভি সেটের সমানের দর্শকরা৷ অতি উৎসাহী ভক্তের কাণ্ডে হুমকির মুখে গোটা সিরিজ৷ কুমিল্লার জাকির হোসেনের ছেলে রাসেল৷ নিজেকে বলছেন ফিজের ভক্ত৷ নিরাপত্তা বলয় ছেদ করে পৌঁছে যান মুস্তফিজের কাছে৷ খেলা বন্ধ থাকে মিনিট পাঁচেক৷ তার সংস্পর্শে আশায় ফিজকে উঠিয়ে নেওয়া হয় তৎক্ষণাৎ৷
রাসেলকে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর মডেল থানায়৷ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷ পুরো ঘটনায় বিব্রত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ দেশের আইনে হবে বিচার, যাতে ভবিষ্যৎতে কেউ এমনটা করার সাহস না পায়৷
মিরপুর জোনের টহল পরিদর্শক মাহফুজুল হক বকশী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালোই ছিল। বায়োবাবলের কারণে আমাদের যেখানে যেখানে প্রবেশের সুযোগ ছিল, সব জায়গাতেই সিকিউরিটির ব্যবস্থা করেছি। ওই ভক্তও টিকিট কেটেই ঢুকেছিলেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমানের ‘পাগল ফ্যান’। তাই তিনি পরিকল্পনা করেই ঢুকেছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার পরপরই ওই যুবককে আমাদের হেফাজতে নিয়ে নিয়েছি। তাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই দলের হবে কোভিড পরীক্ষা৷ আইসিসির ম্যাচ রেফারির দেওয়া রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে বিসিবি৷ তবে দেখছেন না শঙ্কা৷
বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, দর্শক যারা ভেতরে ঢুকবেন সবাই দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া। ওপেন এরিয়ার ক্লোজ কনট্রাক্ট হয়নি। ওভাবে চিন্তা করলে খুব একটা শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভেতরে আইসিসির লোক আছে, পাকিস্তানের লোক আছে, কোভিড প্রোটোকলের লোক আছে- ওরা সিদ্ধান্ত নেবে। ম্যাচ রেফারি আইসিসির কাছে কী রিপোর্ট দিচ্ছেন, সেটাও বিষয়। এখনও কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।
এর আগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা র সঙ্গেও এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে মিরপুর৷ সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন৷ তবে এর ফল কখনই বয়ে আনে না ভালো কিছু৷ দর্শকরা খেলার প্রাণ৷ তাই ক্রিকেটারদের পাশাপাশি তাদের আচরণও হওয়া উচিৎ সংযত৷ কোভিডকালে যে দায়িত্ববোধ বাড়া উচিৎ আরও৷