
ফেডারেল লিবারেলরা দেশজুড়ে গাড়ি চুরি বন্ধের চেষ্টা করছে। যদিও সরকার তার নিজের গাড়িও চুরি থেকে নিরাপদ রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। নতুন এক উপাত্ত এমনটাই বলছে।
৬ মে হাউস অব কমন্সে উত্থাপিত নথিতে দেখা গেছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার ৪৮টি সরকারি গাড়ি চুরি গেছে।
মন্ত্রীরাও এ থেকে নিরাপদ নন। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিচারমন্ত্রীর সরকারি গাড়ি তিনবার চুরি গেছে। প্রদেশ হিসেবে অন্টারিও থেকেই সবচেয়ে বেশি গাড়ি চুরি গেছে। অধিকাংশ সরকারি কার্যালয় যেখানে অবস্থিত সেই অটোয়া থেকে চুরি গেছে ১০টি গাড়ি। এ ছাড়া টরন্টো এরিয়া থেকে খোয়া গেছে দুটি গাড়ি। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, আলবার্টা, সাস্কেচুয়ান, ম্যানিটোবা, কুইবেক এবং নুনাভাট থেকেও গাড়ি চুরির খবর পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো বহরে গাড়ির সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি গাড়ি চুরি গেছে আরসিএমপির। সংস্থাটির ১৯টি গাড়ি চুরি গেছে। এসব গাড়ির চেশিরভাগই খোয়া গেছে প্রেইরি প্রদেশগুলো থেকে। পার্কস কানাডার গাড়ি চুরি গেছে সাতটি, এগ্রিকালচার অ্যান্ড এগ্রি-ফুড কানাডা চারটি এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি ও ইন্ডিজেনাস সার্ভিসেস কানাডার তিনটি গাড়ি এই সময়ের মধ্যে চুরি গেছে। কানাডিয়ান ফুড ইন্সপেকশন এজেন্সি, ফিশারিজ ও কানাডিয়ান কোস্ট গার্ডের অন্তর্ভুক্ত ওশান্স কানাডার দুটি করে গাড়ি খোয়া গেছে।
যেসব বিভাগ ও সংস্থার একটি করে গাড়ি চুরি গেছে সেগুলো হলো কানাডিয়ান রেভিনিউ এজেন্সি, এনভায়রন¤েœট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ কানাডা, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কানাডা, দ্য ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট কানাডা এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা।
নথিতে বলা হয়েছে, চার ডজন গাড়ির মধ্যে দুটি একাধিকবার চুরি যায়। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪টি গাড়ি।
জাতীয় গাড়ি চুরি সম্মেলনের জন্য তৈরি ইকুইট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চুরি গেছে ৭০ হাজার গাড়ি। সারা দেশ থেকে প্রাপ্ত পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অন্টারিওতে গাড়ি চুরি বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। একই সময়ে কুইবেকে বেড়েছে ৫৮ এবং আটলান্টিকে ৩৪ শতাংশ।