
বিচারক না থাকায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক নারীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এপ্রিলে বাদ দেওয়া হয়। টরন্টোতে বিচার শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটে।
এপ্রিলে অন্টারিওর একটি সুপিরিয়র কোর্টে শুনানিতে ক্যাথেরিন রাইনল্যান্ডার এমরন কনস্টান্টাইনের বিরুদ্ধে আনা চার কাউন্ট নির্যাতন, দুই কাউন্ট যৌন নির্যাতন ও এক কাউন্ট হুমকির অভিযোগ স্থগিত করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচারের যে সাংবিধানিক অধিকার তা লঙ্ঘিত হওয়ায় এই আদেশ দেন তিনি।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত রাইনল্যান্ডারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কনস্টান্টাইনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ঘটনায় এক নারীকে শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ২০১৯ সালে ৩ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তার বিচার হওয়ার কথা ছিল। যদিও মামলাটি শোনার মতো কোনো বিচারক সেই সময় ছিলেন না।
রাইনল্যান্ডার তার সিদ্ধান্তে লেখেন, উভয় পক্ষ পরদিন সকালে আবার আসে এবং তাদেরকে আবারও বলা হয় যে, আপনাদের জন্য আমাদের কোনো বিচারক নেই।
প্রথমবারের মতো অভিযোগ দায়েরের প্রায় তিন বছর পর মে মাসে নতুন করে বিচার হওয়ার কথা ছিল। কানাডার ফৌদারি দ-বিধি অনুযায়ী, অভিযুক্ত যে কারো একটিপ যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ব্যতিক্রম ছাড়া অন্টারিওর আদালতগুলোতে এই সময়সীমা ১৮ মাস বা দেড় বছর।
রাইনল্যান্ডার তার সিদ্ধান্তে উল্লেখ করেন, বিলম্বের পেছনে মহামারি ও পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা কাজ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বিচারক না থাকার কথাই জোর দিয়ে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, বিচারক থাকলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিচারটি হয়ে যেত। পর্যাপ্ত সংখ্যক বিচারক না থাকার কারণেই বাড়তি এই বিলম্ব হয়েছে। এই মামলায় বিচারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার সেটাই কারণ।
বিচারক তার বিশ্লেষণে ২০২২ সালে সুপিরিয়র কোর্টের এক রুলিংয়ে বিচারপতি মাইকেল কোডের কথার প্রতিধ্বনি করেন। ওই রুলিংয়ে কোড লেখেন, বিচারের তালিকা অনেকদিন ধরেই অনেক বেশি। প্রায় ক্ষেত্রেই নির্ধারিত সপ্তাহে অতিরিক্ত মামলা বিচারের জন্য রাখা হয়। এর কারণ, নিশ্চিতভাবেই একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মামলা অবসম্ভাবিভাবে বিচারের দিন, এর কিছু আগে অথবা পরে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে বাতিল হয়ে যায়। ফলে বিচার সূচির সঙ্গে কিছুটা শিল্প ও কিছুটা বিজ্ঞান জড়িত থাকে।