ফেসবুকে কোনো পোস্ট দেয়া যাবে না। খুব জরুরী ছাড়া ফোন রিসিভও নয়। আর ই-মেইল চালাচালি এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। অটোয়া, মন্ট্রিয়াল আর কুইবেক সফরের আগে আমার ছেলে-মেয়ের অনুরোধ ছিল এমন। গত চারদিন এগুলো মেনে চলেছি।
শুক্রবারে অটোয়ায় টিউলিপ ফেস্টিবল থেকে আমরা সরাসরি চলে যাই মন্ট্রিয়ালের কাছাকাছি শহর হক্সবারিতে। বন্ধু শাহানা ও শিশিরের বাসায়। সেখানে তাঁদের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ হই। এরপর সরাসরি যাই মন্ট্রিয়ালে। হোটেলে উঠি। দু’দিন সেখানে ছিলাম। রোববার যাই সেন্ট লরেন্স নদীর তীরে অবস্থিত কুইবেক সিটিতে। পাথরের বাড়ী, হ্রদ, নদী সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এই শহর। গতকাল রাতে টরন্টোর বাসায় ফিরে আসি। পথিমধ্যে আমার ভাতিজী ইউশরার অটোয়ার বাসায় মধাহ্ন ভোজ করি।
ভোজন রসিকদের জন্য মন্ট্রিয়াল ও কুইবেক বিখ্যাত। এ শহরগুলোতে পার্সিয়ান, তার্কিজসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে চলে আমাদের খাবার। গত চারদিনের ভ্রমনে আমাদের গাড়ী ড্রাইভ করতে হয়েছে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। গাড়ীতে আলোচনা হয় কানাডার বিশাল খালি জায়গা নিয়ে। বাংলাদেশ থেকে দশ কোটি মানুষ কানাডায় চলে আসলে ভাল হয়। বাংলাদেশিরা এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে। আর দেশে জনসংখ্যার চাপ কমে যাবে। কী বলো ছেলে-মেয়ে? তা কী করে সম্ভব? তাদের পাল্টা প্রশ্ন। প্লেন আর জাহাজে করে চলে আসবে। কানাডার আইন অনুযায়ী ২০ বছর যদি একটি ভুমি কেউ দখলে রাখে, সে মালিকানা দাবি করতে পারবে। এখানে খালি জায়গায় কৃষিকাজ করবে, ব্যবসা বাণিজ্য করবে। চাকুরী করবে। আমি বললাম।
কথা বলতে বলতে আমাদের গাড়ী দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে। কত কথা, কত ছবি জমা হয়ে যায় এ কয়েকদিন। ফেসবুকে লিখতে পারি না। পোস্ট দিতে পারি না। আজ আবার অনুমতি মিলে। শুরু হয়ে যায় ইমেল চালাচালি, ফোন রিসিভ -সবই। তবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চারদিনের বিরতি ভালই কেটেছে।