9.7 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

রাতে জবি মসজিদে ঘুমন্ত ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি

রাতে জবি মসজিদে ঘুমন্ত ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে রাত সাড়ে ১০টায় এক ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মসজিদের যে জায়গায় নারীরা নামাজ আদায় করেন, মেয়েটি সেখানেই ঘুমিয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে মসজিদের ইমাম ছালাহ উদ্দীনকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুত্ফর রহমানকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর খালিদ সাইফুল্লাহকে সদস্যসচিব করে পাঁচজনের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

- Advertisement -

কমিটির অন্যরা হলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. পারভীন আক্তার জেমী, আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম ও অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে এশার নামাজের পর এক নারী শিক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন রাত সাড়ে ১০টা বেজে গেছে। পরে ছাত্রীর ডাকাডাকিতে দুজন সিকিউরিটি গার্ড দৌড়ে আসেন।

একটু পরে ইমাম এসে প্রক্টরকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। প্রক্টরও ফোনে কথা বলেন ওই ছাত্রীর সঙ্গে। পরে ওই ছাত্রী হলের হাউস টিউটরকে ফোন দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়টি বলেন। পরে তিনি হলে চলে যান।

এ বিষয়ে হাউস টিউটর সাজিয়া আফরিন বলেন, ‘হ্যাঁ, সে আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমাকে ঘুমিয়ে পড়ার বিষয়টি বলে। তার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারি, সে হলে নতুন হওয়ায় ভয় পাচ্ছিল। পরে আমি তাকে হলে ফেরার ব্যবস্থা করে দিই। নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে হলে দিয়ে আসে।

কোনো অভিযোগ করেছিলেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, সে কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘুম থেকে উঠে সে কিছুটা ভয় পেয়েছিল। সেদিন মেয়েটি অসুস্থও ছিল।’

মসজিদের ইমাম ছালাহ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।

মসজিদে ছাত্রী ঘুমানো ও ইমামের অব্যাহতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মসজিদে একটা মেয়ে ঘুমাবে, কিন্তু ইমাম জানবে না, এটা তো হতে পারে না। এটা কি তার দায়িত্বে অবহেলা নয়! এ জন্য তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নামাজ পড়ানো থেকে নিষেধ করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. এ কে এম লুত্ফর রহমান বলেন, ‘আমি গতকাল (সোমবার) জানতে পারলাম আমাকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে দেখা যাবে। তাই তদন্ত শেষ না হতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাচ্ছে না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলব না। অফিসে আসো, কথা বলব।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles