
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কিছু স্থানীয় নিউজ আউটলেটের জন্য ফেসবুক অনুসারীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য লেইন বার্নস যে সময়, অর্থ ও শ্রম ব্যয় করেছিলেন একদিনেই যেন তা উবে গেছে। নাউ মিডিয়া গ্রুপের ফেসবুক পেজটি এরপর থেকে অন্ধকারে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ওকানাগান ভ্যালির সংবাদ প্রকাশ করে থাকে মিডিয়া গ্রুপটি।
গত আগস্টে মেটা তাদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফরম থেকে কানাডিয়ান
ব্যবহারকারীদের জন্য সংবাদ সরিয়ে নেয়। লিবারেল সরকারের অনলাইন নিউজ অ্যাক্টের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেয় তারা। এ কারণেই নাউ মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক তার অডিয়েন্স ও রাজস্ব হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করেন।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কেলোনা থেকে এক সাক্ষাৎকারে বার্নস বলেন, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন আমরা ৭০ শতাংশ অডিয়েন্স হারায়। রাজস্ব হারায় ৫০ শতাংশ।
তাদের সংবাদ প্রতিবেদনে ক্লিকের জন্য কোম্পানিটি ফেসবুক ব্যবহার করত, ফলশ্রুতিতে ওইসব ভিউয়ের বিপরীতে বিজ্ঞাপন রাজস্ব আসত। বার্নস বলেন, আমরা একা নই। আরও অনেক আউটলেটও একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর যৌথ উদ্যোগ মিডিয়ার ইকোসিস্টেম অবজার্ভেটরি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাতে মেটার সংবাদ নিষিদ্ধের ফলাফল সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা রয়েছে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক ব্যবহারকারীর সম্পৃক্ততা প্রায় ৬৪ শতাংশ হারিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো হারিয়েছে আরও বেশি প্রায় ৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার পর চার মাস পর্যন্ত স্থানীয় অর্ধেক সংবাদ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।
মিডিয়া ইকোসিস্টেম অবজার্ভেটরির পরিচালক ইঙ্গাস ব্রিজম্যান বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে সাইটের জন্য কোনো রাজস্ব না পাওয়ায় কিছু আউটলেট পুরোপুরি অন্ধকারে চলে গেছে। এটা কানাডিয়ান এবং সংবাদ মাধ্যমগুলোর জন্য বড় ধাক্কা।